খেলা
আগামী মাসেই নারী বিপিএল
স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৮ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার
অবশেষে অপেক্ষা শেষ হচ্ছে নিগার সুলতানা জ্যোতি-সোবহানা মোস্তারিদের। প্রথমবারের মতো উইমেন্স প্রিমিয়ার লীগ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর সেটাও আগামী মাসেই। ৩ দল নিয়ে টুর্নামেন্ট চলবে ৮-৯ দিন। সব ম্যাচই হবে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এসব জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ইফতেখার রহমান মিঠু ও নারী ক্রিকেটার ইনচার্জ হাবিবুল বাশার সুমন। সেখানে ফাহিম বলেন, ‘বোর্ড কিছুদিন ধরেই ভাবছিল আমরা নারী ক্রিকেটকে আর কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সেই বিষয়টাকে মাথায় রেখে, নারীদের জন্য একটা বিপিএল করা যায় কিনা সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা ছিল। আজকে (গতকাল) সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা সেটা করবো।’ ৩ দলের এই টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লীগ পদ্ধতিতে। টেবিলের শীর্ষ দুই খেলবে ফাইনাল। প্রত্যেক দলে একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে পারবে। ফাহিমের আশা এই টুর্নামেন্ট নারী ক্রিকেটকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নেবে। তিনি বলেন, ‘ওমেন্স বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ আমরা আয়োজন করবো। তিনটি দল নিয়ে করার পরিকল্পনা হয়েছে। এটা বিপিএল শেষ হবার পরপরই অনুষ্ঠিত হবে। সময়সীমা ৮-৯ দিনের ভেতরে শেষ হবে। আমরা এরই মধ্যে কিছু ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছে। এটা ওয়ান অফ একটা টুর্নামেন্ট হবে- আমরা শুরু করতে চাই এবং দেখতে চাই নারীদের এই প্রতিযোগিতা যদি সামনে নিয়ে আসি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেটার অ্যাফেক্ট কী রকম হয়। আমরা আশা করছি এটা নারীদের ক্রিকেটকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে।’ দল ৩টি হওয়ার প্রশ্নে ফাহিম বলেন, ‘একটা মানসম্পন্ন টুর্নামেন্ট করতে গেলে যতগুলো মানসম্পন্ন ক্রিকেটার দরকার সেই মানের ক্রিকেটার নিয়ে আমরা এর চেয়ে বেশি দল করতে পারতাম না। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম যে ৪টি দল করা যায় কিনা! তবে এটা শুধু আয়োজন করা নয়, যেন মানসম্পন্ন একটা টুর্নামেন্ট হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে যদি ৩টি দল নিয়ে এটা হয় একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব।’ একজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলানো নিয়ে ফাহিম বলেন, ‘প্রত্যেক দলে ১৫জন দেশি খেলোয়াড় থাকবে। আর বিদেশিদের সংখ্যাটা আমরা ওপেন রেখেছি। কারণ একাদশে খেলতে পারবে মাত্র ১জন। একাদশে ৪জন বিদেশি খেলানোর সুযোগ না থাকার অন্যতম কারণ আর্থিক বিষয়। এটা করতে গেলে দলগুলোর ওপর যে আর্থিক চাপ পড়বে সেটা তারা নিতে চাচ্ছে না এই মুহূর্তে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমরা নিজেদের খেলোয়ারদের সর্বোচ্চ সুযোগটা দিতে চাই।’