আম্পায়ারিংয়ে সৈকত কতোটা নিখুঁত, পরিসংখ্যান যা বলছে

‘এই ম্যাচে অসাধারণ আম্পায়ারিং হয়েছে। ক্রিস গ্যাফানির কাছ থেকে আপনি এই মানের আম্পায়ারিং আশা করতে পারেন। তবে শরফুদ্দৌলা সৈকত সত্যিই দুর্দান্ত ছিলেন’ এক্সে এই টুইটটা করেছেন ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। বার্মিংহামের এজবাস্টনে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এমন নিখুঁত আম্পায়ারিংই করেছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে বিন শহীদ সৈকত। বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসি’র এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেয়া সৈকত বরাবরই দৃঢ় মানসিকতা ও সাহসী সিদ্ধান্তের আলোচনায় থাকেন। কিন্তু সৈকত আসলে কতোটা নিখুঁত আম্পায়ারিং সেটা আরও পরিষ্কার হয় পরিসংখ্যান দেখলে। এজবাস্টনে রোববার ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে ভারত। পরিসংখ্যান বলছে, এজবাস্টন টেস্টে ৪৮ বছর বয়সী সৈকতের ১০টি সিদ্ধান্ত ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে (ডিআরএস) গেছে। এর ৮টিতেই তিনি সঠিক ছিলেন, ২টি সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে। সাফল্যের হার ৮০%। কয়েকটি সিদ্ধান্ত ডিআরএস পর্যন্ত যায়নি। কারণ, দুই দলই তার দেয়া ডিসিশন মেনে নিয়েছে। সেসব সিদ্ধান্তের কারণেও তিনি বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। গত বছরের মার্চে বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেন সৈকত। এলিট আম্পায়ার হিসেবে মাঠে দাঁড়িয়ে সাতটি টেস্ট পরিচালনা করেছেন। এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেয়ার পর গত বছরের জুলাইয়ে বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে টেস্ট দিয়ে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন সৈকত। সেই ম্যাচে ডিআরএস ছিল না।
পরের ছয় টেস্টে তার ৪১টি সিদ্ধান্ত ডিআরএসে গেছে। এর মধ্যে মাত্র ১০টিতে ব্যাটসম্যান অথবা ফিল্ডিং করা দল সফল হতে পেরেছে। ৩১টি সিদ্ধান্ত তার পক্ষে গেছে। অর্থাৎ, সাফল্যের হার ৭৫.৬১%। আম্পায়ার্স কলে মাত্র ৫টি সিদ্ধান্তে আউট অথবা নট আউট হয়েছে।
এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবরে মুলতানে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টেস্টে ডিআরএসে যাওয়া তিনটি সিদ্ধান্তই সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। এরপর নভেম্বরে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা টেস্টে ডিআরএসে আট সিদ্ধান্তের সবক’টি নির্ভুল ছিল। ডিআরএস থেকে সৈকত সবচেয়ে কম সাফল্য পেয়েছেন পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের আরেক টেস্টে। অক্টোবরে রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়া সেই টেস্টে তার সাতটি সিদ্ধান্তের মধ্যে শুধু দুটি সঠিক ছিল (সাফল্যের হার ২৮.৫৭%)। এলিট আম্পায়ার হওয়ার পর শরফুদ্দৌলা ৬ দেশে ৭টি টেস্টে অনফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন সৈকত। বৃহস্পতিবার লর্ডসে শুরু ইংল্যান্ড-ভারত তৃতীয় টেস্ট। এই ম্যাচেও মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।