বাংলারজমিন
শেরপুরে ঘোড়ার মাংসসহ দুই ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
১৬ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবারবগুড়ার শেরপুরে ঘোড়া জবাই করার সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আটক ব্যক্তিদের বুধবার (১৫জানুয়ারি) দুপুরের পর বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে সালমান হোসেন (২৫) ও ধড়মোকাম গ্রামের তৌহিদুর রহমান তৌহিদ (৩২)। গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধরমোকাম গ্রামে ওই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানায়, ওই গ্রামের রোস্তম সরকারের বাড়ির মধ্যে মাংস কাটার শব্দ পেয়ে স্থানীয় এক প্রতিবেশি ভেতরে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে ঘোড়া জবাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে চিৎকার শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে বেশ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও সালমান ও তৌহিদকে আটক করতে সক্ষম হন তারা। পরবর্তীতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘোড়ার মাংস জব্দ করাসহ আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। তবে সাইফুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আটক ব্যক্তিরা হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সম্ভবত এসব মাংস হোটেলে খাসির মাংস হিসেবে বিক্রি করতেন। এজন্য ঘোড়াটি জবাই করেছেন তারা। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৌহিদুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন আগে শহরের দ্বাড়কিপাড়া এলাকায় কয়েকজন বাসিন্দা একটি ঘোড়া জবাই করে খেয়েছেন। এই প্রাণীর মাংস খুবই সুস্বাদু বলে তাদের মুখে শুনেছি। তাই ঘোড়ার মাংস খাওয়ার জন্য এটি জবাই করেছেন বলে স্বীকার করেন।
জানতে চাইলে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটির খবর শুনেছি। এই কাজটি করা মোটেও ঠিক হয়নি, কারণ ঘোড়ার মাংস খাওয়া একজন মুসলমান জন্য হারাম। ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ আর কেউ না করতে পারে সেজন্য সকলকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘোড়া জবাই করার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঘোড়ার মাংসসহ দুইজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।