ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

খেলা

শেষের নাটকীয়তায় টানা দ্বিতীয় জয় সিলেটের

স্পোর্টস ডেস্ক
১৩ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার
mzamin

টি-টোয়েন্টি ম্যাচের রঙ বদলাতে যে সময় লাগে না, তা ফুটে উঠলো আবার। নাটকীয়তা শেষে দারুণ এক জয় পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৫ বলে খুলনা টাইগার্সের যখন প্রয়োজন ৪৫ রান, উইকেট বাকি তখন তিনটি। কিন্তু মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আবু হায়দার রনি ম্যাচের চিত্র বদলে দিলেন চোখের পলকে। শেষ ওভারে যখন টানা দুটি চার মারলেন আবু হায়দার, খুলনার জয় তখন খুবই সম্ভব! শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ সামলে শেষ তিন বল দারুণভাবে শেষ করলেন বোলার রুয়েল মিয়া। নীরব হয়ে পড়া গ্যালারিতে প্রাণ ফিরিয়ে জয়ের উল্লাসে মেতে উঠলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। গতকাল বিপিএলের ম্যাচে খুলনাকে ৮ রানে হারায় স্বাগতিকরা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে সিলেট। পরে রান তাড়ায় নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে থামে খুলনা টাইগার্সের ইনিংস। সিলেটের আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক জাকির হাসান জ্বলে ওঠেন এ দিনও। ৪৬ বলে ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতি পান তিনি টানা দ্বিতীয় ম্যাচে।  
এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট। তৃতীয় ওভারে আউট হওয়া ক্যারিবীয় ওপেনার রাকিম কর্নওয়েল ৫ বলে ৪ রান করে বোল্ড হন আবু হায়দার রনির বলে। তিনে নামা জর্জ মানজি ৭ বলে ২ রান করে শিকার হন নাসুম আহমেদের। পাওয়ার প্লে একদমই ভালো কাটেনি সিলেটের। ছয় ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ছিল ২১ রান। তবে দারুণ এক জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন রনি তালুকদার ও জাকির হাসান। দুজনেই পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। ৬২ বলে তাদের ১০৬ রানের জুটি ভাঙেন আবু হায়দার রনি। ৪৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রান করে আউট হন রনি তালুকদার। মাঝে এসে ৬ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে যান সিলেটের মার্কিন ব্যাটার অ্যারন জোন্স। আরিফুল হককে নিয়ে শেষটা করেন জাকির হাসান। ৩ চার ও ৬ 
ছক্কার ইনিংসে ৪৬ বলে ৭৫ রান করেন জাকির, ১৩ বলে ২১ রান আসে আরিফুল হকের ব্যাটে।  রান তাড়ায় নেমে পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে ৪৭ রান করতেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। ৯ বলে ১১ রান করে মোহাম্মদ নাঈম শেখ নাহিদুলের এবং ৩ বলে ২ রান করে ইমরুল কায়েস তানজিম হাসান সাকিবের শিকারে পরিণত হন। ৮ বলে ১৫ রান করে দারউইশ রাসুলী আউট হন রিচ টপলের বলে।  ওই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি খুলনা। তাদের হয়ে ৪০ বলে ৫ চারে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ওপেনার উইলিয়াম বসিস্টো। ১৮ বলে ৩৩ রান আসে মোহাম্মদ নাওয়াজের ব্যাটে। শেষদিকে অবশ্য ম্যাচ বেশ জমিয়ে তোলেন মাহদিুল ইসলাম অঙ্কন ও আবু হায়দার রনি। তানজিম হাসান সাকিবের ১৯তম ওভারে ১৫ রান নেন তারা। শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ১৯ রানের। রুয়েল মিয়ার প্রথম তিন বলের দুটিতে বাউন্ডারি হাঁকান আবু হায়দার রনি। কিন্তু চতুর্থ বলে বাউন্ডারিতে তানজিম সাকিবের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। পরের বলে মাহিদুল অঙ্কন হয়ে যান রান আউট। সিলেটের হয়ে দুই করে উইকেট নেন তানজিম সাকিব, রিস টপলে ও রুয়েল মিয়া।  

খেলা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

খেলা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status