অনলাইন
২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৯ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এ সময় বেঁধে দেন।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সময় বেঁধে দিয়ে শাহবাগের রাস্তা ছেড়ে আবারো শহীদ মিনারে ফিরে গিয়েছেন তারা। এ সময় তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে সরকার পক্ষ থেকে আমাদের সমস্যা সমাধানে আশানুরূপ ঘোষণা না আসলে এবার কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এর আগে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার জওয়ানদের মুক্তি, বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও ধারা বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেন তারা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানের পর নিজেদের দাবি নিয়ে শাহবাগে আসেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে তিন দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হল–পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার সব বিডিআর সদস্যের মুক্তি, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলা বাতিল, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল ও পুনর্বাসন এবং পিলখানা হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত ও ন্যয়বিচার।
সারা দেশ থেকে আসা বিডিআর সদস্যরা গতকাল সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে নিজেদের দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ তাদের বাধা দিলে সেখানেই অবস্থান নেন আন্দোলনরতরা। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।
ফ্যাসিস্ট বিচার বাদ দিয়ে নতুন করে তদন্ত করুন।
নিরাপরাধ-নির্দোষ বিডিআরদের অনতিবিলম্বে মুক্তি চাই।