অনলাইন
আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ টবি ক্যাডম্যান
ভারত হাসিনাকে ফেরত না পাঠালে আইসিসির সহযোগিতা নিতে পারবে বাংলাদেশ
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন
![mzamin](uploads/news/main/139480_toby.webp)
ভারত বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে জুলাই গণহত্যার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান। তবে ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠালে বাংলাদেশ আইসিসির সহযোগিতা নিতে পারবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
টবি ক্যাডম্যানের সঙ্গে আলোচনা শেষে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনার বিষয়ে টবি ক্যাডম্যান বলেছেন যে, ভারত যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, তারা গণতন্ত্রের নিয়ম ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবেন এবং আনুষ্ঠানিক অনুরোধ যদি বাংলাদেশ সরকার করে, তাহলে সেটার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবেন।
তাজুল ইসলাম জানান, টবি ক্যাডম্যান এটাও বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ফরম্যাল চার্জ হওয়ার পরে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার যদি ভারতের কাছে অনুরোধ জানায় এবং ভারত যদি ফেরত না পাঠায়, তাহলে তার অনুপস্থিতিতেই ট্রায়ালের বিবেচনা করবেন। এমনকি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সহযোগিতা নেয়া যায় কি না, সেটি পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি আরও জানান, কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড থাকলে যে যেসব রাষ্ট্র আসামিকে ফেরত পাঠাতে চায় না, সেসব রাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতাটা ভিন্ন। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে মৃত্যুদণ্ডের যে বিধান রয়েছে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কেবল রয়েছে আদালতের। আদালতই ঠিক করবেন মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে কি না। বাংলাদেশ সরকার এই আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধানটি অ্যাবলিস করবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা ও বাস্তবতার আলোকে।
পাঠকের মতামত
হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে চাপ দিতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী ভারত হাসিনাকে বাংলাদেশ কতৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য আর যদি ফিরিয়ে না দেয় কুটনৈতিক উপায়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে জানাইতে হবে।
ভারত যদি খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে না পাঠিয়ে বিচারের মৃখোমুখি হতে বাধাঁ দেয় তাহলে খুনির পৃষ্ঠপোষকতা সাহায্য সহযোগীতা আশ্রয় প্রশ্রয় দানের জন্য ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারকেও গণহত্যার প্ররোচক হিসাবে দোষি সাব্যস্ত করে একটি হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আরেকটি মোদির বিরুদ্ধে খুন গুম হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে।