অনলাইন
লক্ষ্মীপুরে আবারও ফিলিং স্টেশনে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ২
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
(১ মাস আগে) ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন
লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় গ্রীনলীফ ফিলিং স্টেশনে বাসে গ্যাস নেয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই জন নিহত হয়েছে। এ সময় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে সদর, পরে ঢাকা ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন।
আহত তিনজনের মধ্যে একজন পাম্পের শ্রমিক ও অপর দুইজন সিএনজির চালক বলে জানিয়েছেন পাম্পের ম্যানেজার মো. আল আমিন। তবে বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্নমানের হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। বুধবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফিলিং স্টেশন, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার ভোর পৌনে চারটার দিকে আল মদিনা পরিবহণ নামে একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রীনলীফ ফিলিং স্টেশনে। এসময় বাসে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে চারদিকে ধোঁয়া আচ্ছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজি চালকরা ছোটাছুটি করে। এসময় ঘটনাস্থলে মারা যায় ওয়ার্কশপ শ্রমিক আবুল কালাম। আহত হয় আরো ৩ জন। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকা ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিম্নমানের হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, কোন সড়কে যেন ফিটনেসবিহীন কোন পরিবহণ চলাচল করতে না পারে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমান ও মেয়াদউত্তীর্ন ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর রাতে এই গ্যাস পাম্পে মেঘনা পরিবহণ নামে একটি বাসে গ্যাস নেয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে সদর উপজেলার চরমনসার বটুমিয়ার ছেলে সুমন হোসেন, বাঞ্চানগর এলাকার সুজামিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া ও হৃদয় হোসেনসহ তিনজন মারা যায়। এ সময় আহত হয় ২০জন। এই নিয়ে গত দুই মাসে এই গ্যাস পাম্পে দুইটি দুর্ঘটনা ঘটে।
সরকার বিদেশি ঋন নিয়ে রাস্তা করে।সেই রাস্তায় চলে ফিটনেস বীহিন গাড়ি।ফিটনেস বীহিন গাড়ি দিয়ে।সরকার কোন রাজস্ব পায় না। অথচ ফিটনেস বীহিন গাড়ি কাছে সরকার জিম্মি। কোন বাস গ্যাসে চলতে পারবে না।তা বন্ধ করতে হবে।
গ্যাসের সিলিন্ডার নিয়মিত চেক আপ মনিটর করা দরকার। কিন্তু এই মনিটর করবে কে?