অনলাইন
জার্মান চ্যান্সেলরকে ভয় দেখানোর জন্য কুকুর ‘লেলিয়ে’ দেননি, জানালেন পুতিন
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ সপ্তাহ আগে) ২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৬:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৫৬ অপরাহ্ন
২০০৭ সালের একটি বৈঠকের সময় তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সামনে নিজের অতিকায় কালো ল্যাব্রাডর কোনিকে ছেড়ে দিয়ে নাকি ভয় দেখিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনই আশ্চর্য অভিযোগে তাঁকে বিদ্ধ করেন মার্কেল। সম্প্রতি সেই অভিযোগ করেছেন পুতিন। মার্কেল তাঁর নতুন প্রকাশিত স্মৃতিকথা ‘ফ্রিডমে’ শেয়ার করেছেন যে, পুতিন মাঝে মাঝে তার কুকুরকে বিদেশি নেতাদের সাথে বৈঠকের মাঝে নিয়ে আসতেন। তার আগের বছরই অর্থাৎ ২০০৬ সালে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে মার্কেল রুশ প্রেসিডেন্টের টিমকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেন তাঁর সামনে যেন অতিকায় কোনিকে আনা না হয়। সেবার তাঁর কথা শোনা হলেও একটি অতিকায় স্টাফ কুকুর পুতিন উপহার দেন মার্কেলকে। রসিকতা করে বলেন, ”ভয় নেই, কামড়াবে না।” পরের বছরই সোচিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময়, বড় কুকুরটি ঘরে ঘোরাফেরা করেছিল এবং মার্কেলের কাছে গিয়েছিল। ফটোগ্রাফার এবং টিভি ক্যামেরার সামনে পুতিনের পাশে বসে মার্কেলের মুখে চোখে অস্বস্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার পুতিন এই অভিযোগের উত্তর দিতে গিয়ে দাবি করেছেন, যা ঘটেছিল তা অনভিপ্রেত। তিনি মোটেও মার্কেলের সারমেয়-আতঙ্কের বিষয়টি জানতেন না। পুতিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন- 'সত্যি বলতে - আমি জানতাম না যে মার্কেল কুকুরকে ভয় পায়। যদি আমি জানতাম, আমি এটি কখনই করতাম না। আসলে আমি একটি স্বস্তিদায়ক, মনোরম পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলাম। ' সেদিনের ঘটনার জন্য পুতিন মার্কেলের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। তার বইয়ে প্রাক্তন জার্মান চ্যান্সেলর ঘটনাটিকে একটি কঠিন অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি লেখেন -' আমি কুকুরটিকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করেছি, যদিও সে কমবেশি আমার পাশে চলে আসছিল । আমার মনে হয়েছে পুতিন সেই পরিস্থিতি উপভোগ করছিলেন। তিনি কি শুধু দেখতে চেয়েছিলেন যে একজন ব্যক্তি কীভাবে এরকম একটি পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া দেখায়? এটা কি ছোটখাটো ক্ষমতার প্রদর্শন ছিল? আমি তখন শুধু শান্ত থেকে ফটোগ্রাফারদের দিকে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করছিলাম। '
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস