অনলাইন
নিজেই বাজার করি, চাপে আছি: খাদ্য উপদেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৪ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৪:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:১১ অপরাহ্ন
উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কারণে ক্রেতা হিসেবে নিজেও চাপে আছেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। বৃহস্পতিবার খাদ্য ভবনে এক বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আমি আপনাদের মতো মধ্যবিত্ত। আমি নিজেই বাজার করি, চাপে আছি।’
তিনি বলেন, ‘শীতকালীন সবজি অকালীন বৃষ্টির জন্য মার খেয়েছে। সেটাও দ্রুতই উঠা শুরু করবে আশা করছি। যে বদ্ধ জলাশয়গুলো আছে, শীতকালে সেখান থেকে মাছ সংগ্রহ বাড়ে। সেক্ষেত্রে ডিম ও মুরগির ওপর চাপটা কমবে। সবকিছুর দাম কিছুটা কমবে বলে আমার মনে হচ্ছে।’
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে চালের দাম যতটুকু বেড়েছিল, তা আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে। আমি আশা করছি, আমন ধান মার্কেটে আসা শুরু করলে, দাম একটু কমতে শুরু করবে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষক যাতে ফেয়ার প্রাইস (ন্যায্য মূল্য) পায়, সেদিকেও সরকারের নজর রাখতে হবে। কৃষকের বর্তমানে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। যারা ফসল ফলায়, তারা যাতে নিরুৎসাহিত না হন সেজন্য সরকারকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’
খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমন ধানের আগের বার যে দাম দেয়া হয়েছিল, তার থেকে কেজিপ্রতি ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে। চালেও বাড়ানো হয়েছে।’
শুনতে ভালোই লাগে আপনিও নিজেকে মধ্যবিত্তের কাতারে দেখেন। এইসব বাক্য বলে গরিব মানুষকে আরো ধৈর্য্য ধরতে বলেন !! প্লিজ, কার্যকরী ব্যবস্থা নিন, এই সরকারের ১০০-তম দিন চলে গেল, আর কত আশ্বাস দেবেন। আপনি নিজেই যেহেতু কেবিনেট সচিব ছিলেন সেহেতু রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যেকটি অর্গান সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা আছে বলেই আমার বিশ্বাস। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সব টুল আপনাদের হাতে থাকার পরও যদি নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে সেটা কি ব্যর্থতা হিসেবে পরিগনিত হবে নাহ? আপনার কথাগুলো যৌক্তিক তবে ঐ পদে থেকে মানুষ এসব শুনতে বা মেনে নিতে আগ্রহী হবে না এবং এটাই স্বাভাবিক। একটি কথা বলি এবং সেটি আপনারও অজানা নয় "ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি "। পরিশেষে বলব, কাজ করুন এবং সহযোগী হাত প্রয়োজন হলে "কাজের লোক" নিয়োজিত করুন। রাষ্ট্রের কল্যান কামনায় - জনৈক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক
সবই বুঝতে পারছেন এবং নিজেও টের পাচ্ছেন। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছেন না কেন?
Like to write something
স্যার অনেক ভাল লোক ছিলেন।সিলেটের জেলাপ্রশক থাকা অবস্থায় আমি তার অধীনে চাকরি করেছি। তার কথা টিক।
ছিলেন সচিব। ফ্যাসিবাদের বিশ্বস্ত সহচর। হয়েছেন বিপ্লবোত্তর সরকারের উপদেষ্টা। কথা শুনে মনে হচ্ছে সারাজীবন তিনি ছিলেন ফেরেশতা। খোঁজ নিলে দেখা যাবে উনি কত হাজার কোটি টাকার মালিক।
স্যার, এই সব কথা শুনে মানুষ কতটুকু শান্তনা পাবে? যে সব দ্রব্য ট্যাক্স কমানো হয় তার কতটুকু ভোক্তা সফলতা পাচ্ছে? ট্যাক্স কমানো পরও আগের চেয়ে দাম বেশি বেড়ে যাচ্ছে তার কারণ কি?
লাখ টাকার বেতনের লোকজন চাপে থাকলে ২০তম গ্রেডের কর্মচারী কিভাবে চলবেন ১৪-১৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে?
শুধু প্রকৃতির উপর নির্ভর না করে আপনাদের কিছু করার থাকলে সেই কাজটা আগে করেন।
নতুন বেতন কাঠামো: সর্বনিম্ন গ্রেডের একজন সরকারি কর্মচারীর সর্বনিম্ন বেতন এমনভাবে নির্ধারণ করা যাতে পিতা মাতা এবং নির্ভরশীল ভাই বোনসহ পরিবারের কমপক্ষে বার থেকে চৌদ্দ সদস্যের ব্যয় স্বাচ্ছন্দ্যে মিটানো যায়। সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ গ্রেডের মধ্যে পার্থক্যের পরিমাণ যৌক্তিকতার সাথে নির্ধারণ করা। কোন প্রকার বৈষম্য না রাখা। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত ১:৪ করা যেতে পারে। ২০ টি গ্রেড না রেখে ৪-৫ টি গ্রেড রাখা যেতে পারে।