বাংলারজমিন
লামায় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি ড্রেন ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবারবান্দরবানের লামা পৌরসভায় সরকারি ড্রেন ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মো. আব্দুর শুক্কুর নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তিনি লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। জানা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংলগ্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাস ভবন, পরিষদের পুকুর, পোস্ট অফিস ও রাস্তার পানি নিষ্কাশনের সরকারি ড্রেনে মাটি ভরাট করে অবৈধভাবে বহুতল বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা বলছেন, সরকারি বহু বছরের পুরাতন ড্রেন দখল করে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণকারী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর শুক্কুর লামা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জামালের আত্মীয় হওয়ায় এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে ড্রেন ভরাট করে বহুতল মার্কেট নির্মাণ করছেন। এই অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে ড্রেনের জায়গা দখলমুক্তসহ পুকুর, বসতবাড়ি ও রাস্তার পানি যেন বাধাগ্রস্ত না হয় এটাই দাবি স্থানীয়দের।
পৌর সভার বাজার এলাকায় ড্রেন জবর-দখল করে বহুতল বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ করার কারণে উপজেলা পরিষদের পুকুরের পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে ড্রেনের পানি উপচে রাস্তা, দোকানপাট ও বাণিজ্যিক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
লামা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপুল কান্তি নাথ বলেন, শহরের জনগুত্বপূর্ণ সড়ক সংলগ্ন উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মিত আধুনিক মানের ড্রেন কোনো কাজে আসছে না। পুরাতন ড্রেনে মাটি ভরাট করে বিল্ডিং নির্মাণ করায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ড্রেন দখল করে মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্কুর বলেন, বিল্ডিং নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে ড্রেনের জায়গা খালি করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক ও লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুল হোসেন বলেন, সরকারি ড্রেন ভরাট করে কারও ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। শিগগিরই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ড্রেনটি পানি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬শে অক্টোবর মানবজমিন পত্রিকায় ‘লামায় ড্রেন দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের নজরে আসে। পরে মার্কেট নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পুরাতন বাস ভবন সংলগ্ন প্রধান সড়কে কালভার্টের সংযোগস্থানে ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের সম্পূর্ণ জায়গায় রাতারাতি মাটি ভরাট করে পোস্ট অফিসের সরকারি দেয়াল ভেঙে পানির গতিপথের পরিবর্তন করে ঘুরিয়ে দেয়া হয় পোস্ট অফিসের জায়গায়। এ বিষয়ে অনুমতি নেয়া হয়নি পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষের। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই চালিয়ে যাচ্ছেন নির্মাণকাজ।