রাজনীতি
সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদের
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও আমাদেরকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১২:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৭ অপরাহ্ন
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘আমাদের ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র, সেটা ১৯৯০ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এটা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। মনে করেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর এটা হয়ত শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে।’
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসর অপবাদ দিয়ে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা বিগত সরকারের কোনো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।’
জি এম কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশে আমরা কী রাজনীতি শুরু করেছি! আমি রাজনীতি করবো আমার দল নিয়ে। আমার দল বিবেচনা করবে আমি কার সঙ্গে যাবো, কার সঙ্গে যাবো না। আমার দল বিবেচনা করবে নির্বাচন করবো, নাকি করবো না।’
জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি জাতীয় পর্যায়ের একটি রাজনৈতিক দল। বারবার আমাদের কবরস্থ করার পরেও আমরা কবর থেকে উঠে এসেছি। কেউ আমাদের ধ্বংস করতে পারেনি। যেহেতু আমরা সহাবস্থানের রাজনীতি করি, আমরা দখলদারি করিনি, সন্ত্রাসের রাজনীতি করি না, হাট-মাঠ-ঘাট দখল করিনি, মানুষকে অত্যাচার-দলীয়করণ করিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষকে সুশাসন দিয়েছি, উন্নয়ন দিয়েছি, সংস্কার দিয়েছি, গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েছি। মানুষ তা স্মরণ করে।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, ২০১৪ সালের নির্বাচন আমরা বর্জন করেছি। এরশাদ সাহেবকে জোর করে সিএমএইচে ভর্তি করে, দলে ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি করে ক্ষুদ্র একটি অংশকে নির্বাচনে নেয়া হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও তারা একই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছে। এটা কী সরকারকে বৈধতা দেওয়া হয়নি? ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দল অংশ নিয়েছে।’
গত নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচনও আমরা করতে চাইনি, জোর করে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এ ঘটনা অনেকে দেখেছেন এবং জানেন।’
জীবন গেলেও অন্যায় ও বৈষম্যের প্রতিবাদ করবেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও আগামীকাল শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে।’
উল্লেখ্য, ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার মিছিলে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা-কর্মীদের হামলার জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর বিজয়নগরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকা থেকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার’ ব্যানারে মশাল মিছিল বের হয়। জাতীয় পার্টিকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে দলটির কার্যালয় ঘেরাও করতে বিজয়নগর এলাকায় মিছিল নিয়ে যায় ছাত্র-জনতা। এসময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা করেন। কার্যালয় থেকে মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন মিছিলকারী আহত হন।
জাতীয় বেঈমান পার্টির মিথ্যুক সুবিধাবাদী হাসিনার দালাল ভারতের গোলাম শ্রী কাদের আপনাদের কুকথা কেউ বিশ্বাস করে না। আপনারাই আপনাদের কবর দিয়েছেন। আপনাদের নিয়ে ভাবার কিছুই বাকি রাখেন নাই। আপনাদের মত জাতীয় নোংরা আবর্জনা ধ্বংস হওয়াই মংগল।
তোমরা ধ্বংস হয়ে যাওয়াই উত্তম। প্রথমে ছিলে স্বৈরাচার এখন স্বৈরাচারের সহযোগী। নীতি নৈতিকতার বালাই নাই শুধু ক্ষমতা চাই। তোমরা এত ছ্যাঁচড়া কোন? লজ্জা শরম বলতে কি কিছু নাই।
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমর্থন দিয়ে অনেক আগেই জাতীয় পার্টি নিজেকে ধ্বংস করেছে। আপনারা মন্ত্রী হয়েছেন , এম পি হয়েছেন, বিশেষ দূত হয়েছেন , গাছের উপরেরটা খেয়েছেন আবার নিচেরটাও চেয়েছেন । এখন সাধু সাজার চেষ্টা না করাই ভালো। জাতীয় পার্টিও সমান দোষী । শাস্তি তাকে পেতেই হবে।
আপনার দলে আছে ছদ্দ্ববেশে , মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। সে খাস আওয়ামী লীগ। সে অনেক ক্রীম খেয়েছে। তাকে আইনের আওতায় আনা দরকার।
এই বেহায়াদের দল বিগত ১৭ বছর বিরোধীদলকে রাস্তায় নামতে দেয়নি। ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছে। ইন্ডিয়ার আগ্রাসনকে স্বাগত জানাইছে। আগামী ১৭ বছর তাদের রাজপথে বা নির্বাচনে আমরা দেখতে চাই না।
আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক দলকে এই জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা না হলেও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা উচিত। এত বড় পা চাটা কুত্তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কেউ নেই।
জাতীয় পার্টির মতো চিহ্নিত ও ঠান্ডা মাথায় দেশ, জাতি, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষতি সাধন করা পার্টির ধ্বংস আবার কে করবে ? এরা নিজেদের ধ্বংস নিজেরাই তো উত্তম রূপে সাধন করে রেখেছে। এই সব ভারতীয় বিষ্ঠাভোগী সারমেয় ছানাদের ধরে ধরে নিশ্চিহ্ন করার ভিতরে আমি কোন অন্যায় দেখি না। যদিও এখনও তা করা হয়নি। এ ব্যপারে কোন অলসতা করা ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না ।
বেহায়া পাটি.... কাল যে কাকরাইল সমাবেশ করতে চান ভারত অনুমতি দিয়েছে?
জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদী নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনগণের বিপক্ষে যেয়ে নির্বাচন করেছে এবং গৃহপালিত বিরোধী দল হয়ে সমান অপরাধী!! জাতীয় পার্টির রওশন, কাদের, চন্নু, ফিরোজ গংরা যদি গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে?? মাসরফি, সাকিব কেন অপরাধির কাঠগড়ায়??
They are liar and main assistance of previous autocratic BAL govt.
সকল অপকর্মের বৈধতা দিয়েছিলেন আপনারা নির্বাচনে গিয়ে। ভারতের অনুমতি ছাড়া কিছুই বলতে পারবেন না সে কথা ভুলে গিয়েছেন । জাতি আপনাদেরকে কখনোই ক্ষমা করবে না।
জিএম কাদেরসহ জাতীয় পার্টি এজেন্টদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকৃষ্ট রাজনৈতিক দল হচ্ছে জাতীয় পার্টি, আপনাদের কারনে বিগত নির্বাচন গুলো বৈধতা পেয়েছিল। যেখানে আপনারা ছাড়া আর কেহ ছিল না। আপনাদের তো কোন লজ্জা শরম নেই।
এই পশুরা আওয়ামী লীগের দালালী করে ১৬ টা বছর মানুষকে কাঁদিয়েছে।
দালাল ভাইদের কি হলো? আপনারা আওয়ামীলীগের দোসর ছিলেন? সম-অপরাধী?
এরা সব ভারতের দালাল, জিএম কাদেরসহ ভারতীয় এজেন্টদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকৃষ্ট রাজনৈতিক দল হচ্ছে জাতীয় পার্টি।
আপনাদের কারনে বিগত নির্বাচন গুলো বৈধতা পেয়েছিল। যেখানে আপনারা ছাড়া আর কেহ ছিল না। আপনাদের তো কোন লজ্জা শরম নেই।