বাংলারজমিন
মিয়ানমার থেকে ১৬ বাংলাদেশিকে ফেরত আনলো বিজিবি
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ডাকাতের কবলে পড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাতে বন্দি ১৬ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত সোমবার রাতে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি নাফ নদের শূন্য রেখায় এসে জেলেদেরকে টেকনাফ বিজিবি’র নিকট হস্তান্তর করেন। তিনি আরও জানান, গত ২৮শে সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ফিশারি ঘাট হতে ১৬ জন জেলে একটি ট্রলারযোগে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়। গত ৫ই অক্টোবর সন্ধ্যায় ৩টি ট্রলারে করে অজ্ঞাত সন্ত্রাসী ও ডাকাতদল উক্ত জেলেদের ওপর আক্রমণ ও মারধর করে তাদেরকে ট্রলারের ডেকের ভেতরে বন্দি করে রাখে। পরে গত ৭ই অক্টোবর ভোরে সন্ত্রাসীদল জেলেদেরকে বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার অংশে একটি চরে ছেড়ে দেয়। জেলেরা মিয়ানমারের বেসামরিক জনগণের মাধ্যমে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাদের নিকট আত্মসমর্পণ করে। উক্ত জেলেরা প্রায় ৬ দিন আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকার পর গত ১৩ই অক্টোবর তাদের আটকের বিষয়টি টেকনাফ বিজিবিকে অবহিত করে।
তিনি আরও জানান, এ প্রেক্ষিতে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন মিয়ানমারের সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে সোমবার রাতে নাফ নদের শূন্য রেখায় এসে ১৬ জন জেলেকে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করে। আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি জেলেরা হলো- কক্সবাজারের রামু উপজেলার তুরিঙ্গাকাটা গ্রামের মো. ইসমাইল (২৭), আব্দুল হাফেজ (২৮), আজিজুর রহমান (৪৫), আবু হেনা (৪০), ছেলে আলী (৪০), আরাফাত (৩০), মো. হেলাল (২৮), আমান উল্লাহ (৫০), নবী হোসেন (২৮), মো. সলিমুল্লাহ (৪৫), মো. ইউনুস (৫২), মো. সাগর (২২), মো. সেলিম (২৮), দিল মোহাম্মদ (২৭), রহিম উল্লাহ (৫২) ও মো. জয়নাল (৫৫)। ফিরিয়ে আনা ১৬ জন জেলেকে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি’র ওই কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মিয়ানমারের আরকান আর্মি নাফ নদে মাছ শিকারকালে ৫ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে বিজিবি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফিরিয়ে আনে। এ ছাড়াও মিয়ানমারের নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগরে জেলেদের ওপর গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় একজন জেলে নিহত হয়। পরে কোস্ট গার্ড তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫৮ জন জেলেকে ফিরিয়ে আনে।