ঢাকা, ২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

আইনজীবীরা কেন আত্মগোপনে

অনলাইন ডেস্ক

(৮ মাস আগে) ১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

mzamin

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘আইনজীবীরা কেন আত্মগোপনে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ল’ইয়ার, উকিল, ব্যারিস্টার, অ্যাডভোকেট নানাভাবে আখ্যায়িত আইনজীবীরা। পৃথিবীতে এ পেশার লোকদের শ্রদ্ধার সঙ্গে লার্নেড বা বিজ্ঞ বলে আখ্যায়িত করা হয়। সংবিধান, আইন, আদালত ও মানবাধিকারের মতো উচ্চ ধারণা এবং জটিল বিষয় নিয়ে কাজ করেন বলে তাদের দিকে সব শ্রেণির মানুষের দৃষ্টি থাকে। বিচারাকাংক্ষিদের পক্ষে তারা আইনি লড়াই চালান। তবে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পাল্টে যায় পরিস্থিতি। কোণঠাসা হয়ে পড়েন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। একসময়ের দাপুটে আইনজীবীর অনেকেই এখন আত্মগোপনে। কেউ কেউ এখন আসামির কাঠগড়ায়। কেউ আছেন কারাগার ও রিমান্ডে। জানা গেছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামীপন্থি শীর্ষ আইনজীবীদের প্রায় কেউই আদালতমুখী হচ্ছেন না।

তাদের তালিকায় আছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলাল, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম প্রমুখ। বেশ কয়েকজন আইনজীবীর ঘনিষ্ঠজনরা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সম্মানহানি, মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় এবং অস্বস্তিতে তারা আদালতে বা প্রকাশ্যে যাচ্ছেন না।

সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকার অধস্তন আদালতে নিয়মিত আইন পেশা পরিচালনা করেন আওয়ামীপন্থি এমন অন্তত আটজন শীর্ষ আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ ও কথা বলার চেষ্টা করেছেন এই প্রতিবেদক। শুধু একজনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়েছে।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘প্রকাশ্যে এসেই হুমকি ও খুনে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য তৎপরতা শুরু করেছেন। একইভাবে আত্মগোপনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছেন। অপরাধের পুরোনো সাম্রাজ্য ফিরে পেতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দেওয়ার পাশাপাশি চাঁদা চেয়ে ব্যবসায়ীদের হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ঢাকায় গত মাসে জোড়া খুনের একটি ঘটনায়ও একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম এসেছে।

সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মগবাজারের বিশাল সেন্টারে দলবল নিয়ে মহড়াদিয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। একটি দোকান দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। পরে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ডেকে কথা বলেছেন। এ নিয়ে সেখানকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শুধু সুব্রত বাইন নয়, মোহাম্মদপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালসহ অনেকেরই এ ধরনের তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। প্রায় দুই যুগ পর জামিনে বের হওয়া পিচ্চি হেলালের বিরুদ্ধে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর রায়েরবাজারে সাদেক খান আড়তের সামনে ওই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এলাকার ‘দখল’ নিতে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের বিরোধ থেকে জোড়া খুনের ওই ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার পর পিচ্চি হেলালকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, মোহাম্মদপুরের খুনের ঘটনায় পিচ্চি হেলাল গ্রেপ্তার না হলেও দু-তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ওপরও পুলিশের নজরদারি রয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী হোক বা যে–ই হোক, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।

যুগান্তর

‘চেয়ার টেকাতে মন্ত্রীদের উপঢৌকন দিতেন প্লট’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০০৯ সালে নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালামকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এ পদে দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর ছিলেন তিনি। আর চেয়ার টিকিয়ে রাখতে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ-সদস্য ও দলীয় নেতাদের উপঢৌকন দিয়েছিলেন কোটি কোটি টাকা মূল্যের প্লট।

এছাড়াও নিজের আত্মীয়স্বজন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামেও প্লট বাগিয়ে নেন তিনি। তার মেয়াদে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া নানা প্রকল্প থেকে কমিশন আদায়ের বিষয়টিও ছিল ওপেন সিক্রেট।

বিশেষ করে হাজার কোটি টাকার ফ্লাইওভার প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানা প্রশ্ন ওঠে। চউক চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিদায়ের পর তার বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও কোনো কিছুই তাকে আটকাতে পারেনি। চেয়ারম্যান থাকাকালে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায়ও পার পেয়ে যান তিনি। টাকার জোরে এবং ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সংসদ-সদস্য ‘নির্বাচিত’ হন। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে লাপাত্তা এই ক্ষমতাধর ছালাম।  

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম মহামান্যের সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ‘ইচ্ছাপূরণ’। খবরে বলা হয়, লাভজনক দেখিয়ে কিশোরগঞ্জের হাওরে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি টাকায় উড়াল সড়ক প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এ জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষায় দেখানো হয়, ২০২৭ সালে উড়াল সড়কে দৈনিক গড়ে ১৬ হাজার ৬৬৬ এবং ২০৩০ সালে ২৫ হাজার ৭০৮টি যানবাহন চলবে।

বলা হয়েছিল, ২৬ হাজার যানবাহন চলবে। তবে উদ্বোধনের চার বছর পর অল্প কিছু মোটরসাইকেল, অটোরিকশা চলছে। লাভ দূরে থাক, হাওরের বুক চিরে নির্মিত সড়কটি বন্যা এবং পরিবেশগত সংকট সৃষ্টির কারণ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০ কোটি টাকা খরচায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পূর্ত বিভাগের করা সমীক্ষায়ও বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সেতু কর্তৃপক্ষের জন্য লাভজনক হবে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০৩০ সালে প্রতিদিন ২৫ হাজার ৭০৮ যানবাহন চলাচল করবে। বাস চলবে ১ হাজার ৩৮২টি। যদিও পরিবহন মালিকরা সমকালকে জানিয়েছেন, ব্যস্ততম সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম পথেও এত বাস চলে না।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, উড়াল সড়কে ২০২৭ সালে প্রতিদিন ১৩ হাজার ২১৭ এবং ২০২৩ সালে ১৫ হাজার ১৪২টি মোটরসাইকেল চলবে। সেতু বিভাগের তথ্যানুযায়ী, পদ্মা সেতুতে দিনে তিন হাজারের মতো মোটরসাইকেল চলে না।

কালের কণ্ঠ

‘বাজারে বেপরোয়া মুনাফালোভীরা’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি, কিন্তু বাজারে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে একেকটি নিত্যপণ্যের দাম। রীতিমতো দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা যেন! ভোক্তার পকেট কাটতে বিক্রেতাদের দাম বাড়ানোর এই নৈরাজ্য অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। বলতে গেলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষই নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে দিশাহারা। আলু, বেগুন, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতাসহ প্রায় সব ধরনের সবজিই অস্বাভাবিক দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমও চলে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তথ্য-উপাত্ত বলছে, কোনো কোনো পণ্যের দাম মাসের ব্যবধানে ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সাধারণ মানুষ না পারছে বলতে, না পারছে সইতে—এমন এক অবস্থা। ত্যক্ত-বিরক্ত ভোক্তা রাগে-ক্ষোভে বিক্রেতাকে দু-এক কথা শুনিয়ে দিলেও দামের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেই বাড়ি ফিরছে।

সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া যায়। জানা যায়, বিদায়ি আওয়ামী সরকারের সময় থেকেই বাজারে এই অস্থিরতা চলছিল। ওই সরকারের ওপর মানুষের ক্ষোভের এটিও একটি কারণ। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর বাজার সহনীয় করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়।

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘৫০ হাজার কিলোমিটার জরিপ হলেও কূপ খননের অবহেলায় গ্যাসের মজুদ বাড়েনি’। খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের গত দেড় দশকের শাসনামলে দেশের স্থলভাগ ও সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে জরিপ চালানো হয় প্রায় ৫০ হাজার লাইন কিলোমিটার (জরিপের অধীন এলাকার দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক) এলাকায়। স্থানীয় গ্যাসের মজুদ খুঁজে বের করতে এ অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে টুডি, থ্রিডি ও মাল্টিক্লায়েন্ট জরিপের মাধ্যমে। তবে এ জরিপ কার্যক্রম দেশে গ্যাসের নতুন মজুদ বৃদ্ধিতে খুব সামান্যই ভূমিকা রাখতে পেরেছে। জরিপ চালানো হলেও গ্যাসের উত্তোলন বাড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস কূপ খনন করা হয়নি। দেশের মূল ভূখণ্ডের বাইরে ভোলা ছাড়া আর কোথাও গ্যাসের বড় কোনো মজুদ পাওয়া যায়নি।

জ্বালানি বিভাগের এক হিসাব অনুযায়ী, ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশে গ্যাস ক্ষেত্র ছিল ২৩টি। বর্তমানে তা ২৯টিতে উন্নীত হয়েছে। গত দেড় দশকে নতুন যে ছয়টি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে, সেখানে গ্যাসের বড় কোনো মজুদ পাওয়া যায়নি। নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে নোয়াখালীর সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ও নিশ্চিতকৃত মজুদ (টুপি-প্রুভেন অ্যান্ড প্রবাবল রিজার্ভ) ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)।

এছাড়া কুমিল্লার শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ডে মজুদ পাওয়া যায় ১৬১ বিসিএফ, রূপগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডে ৩৩ বিসিএফ, সিলেটের জকিগঞ্জে সামান্য কিছু গ্যাসের মজুদ পাওয়া যায়। এর বাইরে স্থলভাগের মূল ভূখণ্ডে ভোলা জেলায় ভোলা নর্থ ও ইলিশায় অন্তত ৮০০ বিসিএফ গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। কিন্তু ভোলার এ গ্যাস এখন কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। পাইপলাইন না থাকায় তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যাচ্ছে না।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের প্রত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘মামলা, গ্রেপ্তারে অস্বস্তি পুলিশ ও প্রশাসনে’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা, গ্রেপ্তার, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রভাবশালী দুটি অঙ্গ—প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডারে অস্বস্তি বিরাজ করছে। এর মধ্যেই প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে গুঞ্জন চলছে, বিগত নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের একটি অংশকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে কর্মকর্তাদের একপক্ষ মনে করছে, সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ঢালাওভাবে মামলায় আসামি করা ও গ্রেপ্তার সার্বিক কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে আরেকটি অংশের মত, বিগত সরকারের আমলে যেসব আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তা বেশি প্রভাব বিস্তার করেছেন ও দলীয় আবরণে গা ভাসিয়েছেন, তাঁদের বিচারের মুখোমুখি না করলে পুরো প্রশাসন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিশোধমূলক। এটা ২০ বছর ধরে ঘৃণ্যভাবে চলেছে। এর জন্য দুটি বড় রাজনৈতিক দল (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) সমানভাবে দায়ী। তবে আওয়ামী লীগের আমলে এর মাত্রা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ছিল। তিনি বলেন, ‘যেভাবে মামলা দেওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে কতগুলো সঠিক, তা আমার জানা নেই। যতটুকু বুঝি, এর অধিকাংশ ভুয়া। যদি তা-ই হয়, তাহলে এসব মামলা দিয়ে হেনস্তা করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। আওয়ামী লীগ যেভাবে বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে চেষ্টা করেছিল, এখন তারাও সেটিই করছে।’

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Primary schools barely looked after’ অর্থাৎ ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর দিকে তেমন নজরই নেই’।

শিশুদের পাঠদানের ক্ষতি হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আরও শ্রেণিকক্ষ, স্যানিটেশন সুবিধা ও অন্যান্য উন্নয়নের জন্য একটি বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও সেটি গত ৬ বছরে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। এ অবস্থায় খারাপ পরিবেশে শিশুদের পাঠদানের ক্ষতি হচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির দুই-তৃতীয়াংশ কাজ মে মাস পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।

২০১৮ সালের জুলাই মাসে ৩৮ হাজার ২৯১ কোটি টাকার প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালে প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়েছিল সরকার। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ২০২৫ সালের জুনে। তবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৬২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ।

ইত্তেফাক

‘থেমে থেমে বৃষ্টিতে ডেঙ্গু বাড়বে’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ডান হাতে স্যালাইনের ক্যানেলা লাগানো। পাঁচ বছর বয়সি রোহান মায়ের পাশে কেঁদেই যাচ্ছে, বড় বড় চোখ থেকে গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। সন্তানের পাশে বসে মা চোখের পানি মুছে দিচ্ছিলেন। ১১/১২ দিনের ডেঙ্গু জ্বরে শুকিয়ে গেছে রোহান। বিছানার পায়ের দিকে মাথা রেখে বাঁকা হয়ে শুয়ে আছে। বাবার সঙ্গে জিদ ধরেছে বাসায় যাবে। ছেলের কাছ থেকে ছাড়া পেতে বাবা ৫০ টাকা ছেলের হাতে দেয়; কিন্তু রোহান টাকা ছুড়ে ফেলে। কোনোভাবেই বাবা ছেলেকে হাসপাতালের বিছানায় রেখে বের হতে পারছিলেন না। বাবা মোখলেসুর রহমান বলেন, আজ ১২ দিন ধরে বাচ্চা হাসপাতালে আছে। তাই সে আর থাকতে চাচ্ছে না।

২২ নম্বর বেডে আছে ১৫ মাস বয়সি ফারিয়া। তার বাবা-মা থাকেন ফার্মগেটে। বাচ্চাকে নিয়ে গত চার০ দিন ধরে আছেন হাসপাতালে। একই অবস্থা ২০ নম্বর বিছানায় থাকা ১৭ মাস বয়সি আফনান আলনূরের। হাজারীবাগ থেকে সন্তানকে নিয়ে এসেছেন মা নূরজাহান, তিনি বলেন, বাচ্চাকে মুখে খাওয়াতে বলা হয়েছে কিন্তু সে কিছুতেই মুখে কিছু খেতে চাচ্ছে না, বাধ্য হয়ে মোবাইল ফোনে কার্টুন দেখিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছি।

ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ ইত্তেফাককে বলেন, এ বছর যে হারে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে বাকি তিন মাসে ডেঙ্গু বাড়তেই থাকবে। ডেঙ্গু মশার কামড়ে হয়। মশা বাড়তে থাকলে ডেঙ্গুও বাড়তেই থাকবে। সুতরাং এটা প্রতিরোধ করা প্রশাসনের একার দায়িত্ব না, এটা সবার দায়িত্ব। যেখানেই পানি জমবে, সেখানেই মশা ডিম পাড়বে। শত শত মশা তৈরি হবে এবং ডেঙ্গু ছড়াবে। ডেঙ্গু এখন আর শুধু শহরে নেই; গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়ে গেছে। গ্রামগঞ্জে চিকিত্সার সুযোগ খুব একটা নেই; সেজন্যে ভোগান্তি বেশি হচ্ছে। যেহেতু এই সময়ে ডেঙ্গু হচ্ছে, সে কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা হলে কেউ যেন অবহেলা না করেন। জ্বর আসার এক-দুই দিনের মধ্যে এনএস-ওয়ান এন্টিজেন পরীক্ষা করাতে পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক।

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম ‘শীর্ষ পাচারকারীদের অর্থ শনাক্তে রোডম্যাপ তৈরি’। খবরে বলা হয়, এস আলম, বেক্সিমকো, সামিট, নাসার নজরুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ শীর্ষ অর্থ পাচারকারীদের দেশে-বিদেশে থাকা অর্থ শনাক্ত করে দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সাথে তাদের দেশে থাকা সম্পদ দ্রুত জব্দ করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্তদের সম্পদ কেউ কিনলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ দেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানায়।

এস আলম, বেক্সিমকো, সামিট, নাসার নজরুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ শীর্ষ অর্থ পাচারকারীদের দেশে-বিদেশে থাকা অর্থ শনাক্ত করে দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সাথে তাদের দেশে থাকা সম্পদ দ্রুত জব্দ করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্তদের সম্পদ কেউ কিনলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ দেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানায়।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status