অনলাইন
চট্টগ্রামের পূজা মণ্ডপে ইসলামিক দলের গান পরিবেশনা নিয়ে যা জানা গেলো
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম
(৪ সপ্তাহ আগে) ১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ১:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রামের একটি পূজা মণ্ডপে ‘ইসলামিক গান’ গাওয়া নিয়ে তীব্র আলোচনা তৈরি হয়েছে। সেই গানের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা আলোচনায় মাতেন নেটিজেনরা। তবে এরমধ্যে জানা গেছে, নগর পূজা উদযাপন পরিষদের এক নেতার আহ্বানে ব্যক্তি পরিচালিত একটি দল এই গান পরিবেশন করে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের জেএমসেন হলের পূজা মণ্ডপে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি ইসলামিক গানের দল ওই গান পরিবেশন করে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই গানের দলের ছয় সদস্য গান পরিবেশন করতে মঞ্চে ওঠে। সংগঠনটি শাহ্ আবদুল করিমের লেখা বিখ্যাত গান ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং চৌধুরী আবদুল হালিমের লেখা ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’-শীর্ষক গান দুটি পরিবেশন করে। এর মধ্যে শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান-গানটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই গান গাওয়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতার আমন্ত্রণে সংগঠনটি ওই পূজা মণ্ডপে গান করতে যায়। তবে গান গাওয়ার পরে সনাতন ধর্মের মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তারা ওই সংগঠনটিকে জামায়াত ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করছেন। যদিও জামায়াত জানিয়েছে, তারা এই গান করার বিষয়ে কিছুই জানে না, গানের দলটিও তাদের কোনো অঙ্গ সংগঠন নয়।
চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি-র সভাপতি সেলিম জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পূজা উদযাপন পরিষদের সজল বাবু আমাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তিনি ফোন করে বলেন ‘‘আপনারা একটু আসেন। আপনাদের একটু ফ্লোর (সুযোগ) দেব। কিছু দেশাত্মবোধাক গান গাইবেন।’’ সে আমন্ত্রণে গিয়ে আমাদের দলটি দুটি সম্প্রীতির গান করে। কিন্তু এটি নিয়ে একটা পক্ষ প্রচারণা চালাচ্ছে ষড়যন্ত্র করতেই আমরা গান করতে গিয়েছি। আমরা তো জোরপূর্বক কিছুই করিনি। দাওয়াত পেয়েই গিয়েছিলাম।’
চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি জামায়াতের কোনো গানের দল কিনা এমন প্রশ্নে সেলিম জামান বলেন, ‘এটি জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন নয়। শুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চার উদ্দেশে ২০১৫ সালে আমাদের গানের দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।’
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, ‘আমাদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের অনুমতি নিয়ে ওই গানের দলটি পূজা মণ্ডপে এসে গান পরিবেশ করেছে বলে জেনেছি। তবে ওই সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’ সংগঠনটি জামায়াতের কিনা এমন প্রশ্নে হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার জানা নেই।’
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও প্রচার বিভাগের পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,কয়েকটি ছেলে মণ্ডপে গিয়ে সম্পৃতির গান গেয়েছে শুনলাম। তবে এদের সাথে জামায়াত বা শিবিরের কোন সম্পৃক্ততা নেই।।
এদিকে মণ্ডপে গান গাওয়া এই তরুণদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এরমধ্যে তদেরকে গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশের বিশেষ একটি ইউনিট। এছাড়া তাদেরকে গানের দাওয়াত দেয়া সজল দত্তকে পূজা উদযাপন পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যারা মূর্খ তাদের হয়তো বোঝাতে পারবেন, আমাদের নয়। ওরা সবাই জামায়াতের লোক আমরা আগে থেকেই তাদের চিনি।
রাষ্ট্রপ্রধানরা বার বার বলেছেন, উৎসব সবার। সেখানে তারা গিয়ে উৎসব করছে,এতে দোষের কি
পূজামন্ডপে পূজা কমিটির কয়েকজনও কি হলে ছিলেন না! হুট করে একটা গানের দলের ছয় জন মন্চে উঠেই গান গাইতে শুরু করল! এমনটি হতে পারে না। দু'টি গানও হলো! কোন অনুষ্ঠানে হুট করেই মন্চে উঠে কেউ কোন বক্তব্য দিতে পারে না। এমন ঘটনা অবাক করলো সবাইকে! গানের জন্য অন্তত: 15-20 মি: সময় লাগে শিল্পীদের সবকিছু সেট আপ করতে। কেউই দেখল না, এরা কারা!
মানসিকতা আর অজ্ঞতা কোন পর্যায়ে হলে পূজামণ্ডপে এরা গান করতে যায়! এত নিম্ন পর্যায়ের বুদ্ধি আদৌ কোনো মানুষের কীভাবে হতে পারে?
যারা গান গেয়ে আনন্দ দিল তারাই হয়ে গেল আসামি । পূজার আনন্দ ভাগাভাগি ছিল তাদের উদ্দেশ্য । তাছাড়া তারা আমন্ত্রণ পেয়েছিল। কিছু গোড়া হিন্দু বা তাদের ভাষাতেই সনাতন হিন্দু একে বিতর্কিত করেছেন।
আমাদের দেশের মানুষের অতি আবেগ রাস্ট্র, সমাজ, রাজনীতি, ইতিহাস ও ধর্মকে ভূলন্ঠিত করেছে।
সমস্যা কি? বর্তমান ও সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান বার বার বলেছেন, উৎসব সবার। সেখানে তারা গিয়ে উৎসব করছে,এতে দোষের কিচ্ছু দেখছি না।
অশ্লীল গান নয়, নজরুলের সম্প্রতির গান, এতো এলার্জি কেন ?
দেশকে অস্থিতিশীল করে লাভ কার?
ধর্ম যার যার উৎসব সবার এর প্রবক্তারা এখন কোথায়?
Pratham ganti niy e ki kicu bolar thakk tr par e
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ গান পরিবেশন কারীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি সজল বাবুকেও গ্রেফতার করতে হবে। কেননা সজল বাবুর আমন্ত্রণে তারা গান পরিবেশন করতে এসেছিলো।
নাবালক তো একজনও ছিল না। দেশাত্মবোধক গান কোনটি আর ইসলাম ধর্মে অনুপ্রাণিত করার গান কোনটি তারা কি বুঝতে পারেন নাই?
যত দোষ নন্দ ঘোষ
গানের ভাষা সাম্প্রদায়িক নাকি সম্প্রিতির যাচাই করে দেখা হউক।
ক্যান যে তরা হুদা কামে একটার পর একটা ঝামেলা বাধাস..........
এমন অনেক পূজা আছে যেখানে নজরুলের শ্যামা সংগীত গাওয়া হয়, কই সেখানে তো কোন বিতর্ক দেখি না। আসলে আমাদের সংস্কৃতিসহ সব আননন্দ আয়োজন-ই পতিত স্বৈরাচার সরকারের সময় থেকে এসব জাতিসত্তায় বিভাজন হয়ে গেছে।
শিল্পিরা দাওয়াত পেয়ে এসে গান পরিবেশন করলেন। আর এখন পুলিশ তাদের খুজচ্ছে? এর মানেটা কি? কমিটির একজন দাওয়াত দিয়েছেন আর অন্যরা যদি এটা পছন্দ না করেন তাহলে গান পরিবেশন করতে দিলেন কেন? আবার তাদের জামায়াত ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টাহচ্ছে!
কি দরকার পূজা মণ্ডপে গিয়ে ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম’ গান গাইতে যাওয়ার! এমনিতেই কিছু একটা ইস্যু তৈরিতে বন্ধুরা তৎপর সেখানে এমন বালখিল্য আচরণ চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্য।
এই সংস্কৃতি থেকে কবে বের হতে পারবো আমরা ?