ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

প্রায় অর্ধেক জীবন কেটে গেলো জেলে! ৪৬ বছর পর নির্দোষ প্রমাণিত

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ সপ্তাহ আগে) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ২:৫৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ অপরাহ্ন

mzamin

প্রায় অর্ধশতাব্দি জেল খাটার পর এক ব্যক্তিকে নির্দোষ ঘোষণা করে দণ্ড থেকে অব্যাহতি দিলো জাপান। কোনও দোষ না করেই নিজের জীবনের অর্ধেকটা সময়ই কাটিয়ে দিলেন জেলের মধ্যে। জাপানের বাসিন্দা প্রাক্তন বক্সার ইওয়াও হাকামাদা বর্তমানে তার বয়স ৮৮ বছর।  ১৯৬৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তার বস, বসের স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগে। যে ঘটনা পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সেই সময় একটি স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করে হাকামাদাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং তাকে কোনও আইনজীবীর উপস্থিতি ছাড়াই জেরা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ইয়াও হাকমাদাকে ১৯৬৮ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এই দণ্ড নিয়ে সাবেক বক্সিং খেলোয়াড় হাকামাদা ৪৬ বছর কারাগারে ছিলেন। মামলায় নতুন প্রমাণ হাজিরের পর ২০১৪ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং পুনরায় বিচারের আদেশ দেওয়া হয়। হাকামাদাকে যেসব বিচারকরা শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিলেন , তাদের মধ্যেই এক বিচারক ২০০৮ সালে বলেছিলেন যে হাকামাদা নির্দোষ এবং তার পুনর্বিচারের দাবি করেছিলেন। ২০১৪ সালে একটি কোর্ট হাকামাদাকে মুক্তি দেয় এবং পুনর্বিচার মঞ্জুর করে। কোর্ট জানায়, নতুন ডিএনএ পরীক্ষার করে জানা গিয়েছে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত পোশাকের রক্ত হাকামাদার রক্তের ডিএনএ -এর সাথে মেলেনি। যদিও পুনর্বিচার শেষ হতে আরও ১০ বছর সময়ে লেগে গিয়েছিল। অবশেষে, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ শিজুকা জেলা আদালত হাকামাদাকে বেকসুর খালাস দেয়। হাকামাদা ধারাবাহিকভাবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছিলেন। তার দাবি ছিল, তদন্তকারীরা তাকে দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করেছে। হাকামাদার আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ প্রমাণ নিয়ে জালিয়াতি করেছে। শিজুওকা জেলা আদালতের প্রধান বিচারক কোশি কুনি জানিয়েছেন, হাকামাদার ‘স্বীকারোক্তি’ জোর করে আদায় করা হয়েছে। হত্যার সময় হাকামাদা যে পোশাক পরেছিলেন বলে ওই সময় কৌঁসুলিরা দাবি করেছিলেন সেটি-সহ তিনটি প্রমাণ জাল করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, “তদন্তকারীরা জামাকাপড়ে রক্ত লাগিয়ে জালিয়াতি করেছে। অমানবিক মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা দিয়ে হাকামাদার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। জাপানের এই বিচারব্যবস্থা পুরো বিশ্বে সমালোচিত হয়েছে।

সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস

পাঠকের মতামত

Police is always foolish.

Md. Abdur Rahim
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

লোকটার জীবন ধ্বংস করল কে ? ঃ বেকুব পুলিশ আর বিজ্ঞ আদালত । ওদের কি কোন শাস্তি হবে ? না কি তারা আইনের ঊর্ধ্বে ?

পাঠক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৭:২০ পূর্বাহ্ন

এমন একটা বিষয় তাও আবার জাপান আমি কি লিখব ভাষাই হাড়িয়ে ফেলেছি। এরা নিজেদের উন্নত দাবী করে কিসের বলে । এদের লজ্জা থাকার দরকার ছিল।

মাহমুদুল হাসান
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৬:৩১ পূর্বাহ্ন

জাপান সরকারের উচিত সেই সময়ের দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নূতন করে ফোজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

Akbar Ali
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১০:৩০ অপরাহ্ন

আজ থেকে ৪৬বছর আগে পুলিশ আর আজকের পুলিশ এক না।

Faiz Ahmed
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৪:২১ অপরাহ্ন

আমার বিশ্বাস ভঙ্গ হয়ে গেল, জাপানের পুলিশ প্রশাসনের উপর। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল অত্যন্ত জাপানের মত উন্নত দেশের পুলিশের মানসিকতা ও উন্নত এবং তারা সৎ।

Kazi
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৩:৩০ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status