অনলাইন
ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যার ঘটনা হল প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা: ছাত্রদল
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৭:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:০৪ অপরাহ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হত্যার ঘটনাকে হল প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা বলে মনে করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
নাছির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কয়েক ঘণ্টা ধরে মারধর করে একজনকে হত্যা করার ঘটনাকে আমরা হল প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা বলে মনে করছি। ছাত্রলীগের পদধারী কতিপয় সন্ত্রাসী বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার্থী নামে হলগুলোতে অবস্থান নিয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে ‘মব’ তৈরি করে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী নামে সক্রিয় এই মবকে প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের বরাতে কিছু গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদসহ একদল শিক্ষার্থী। নির্যাতন করা শিক্ষার্থীদের সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী।
বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে এই শীর্ষ ছাত্রদল নেতা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিস্টবিরোধী সংগ্রাম, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল এ দেশ থেকে সব অন্যায়, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করা। একজন ব্যক্তি অপরাধী হলেও তাকে কোনভাবেই হত্যার সুযোগ নেই।
ছাত্রদলের এই নেতা এসময় অভিযোগ করেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশের অনুপস্থিতিতেই ক্যাম্পাসে মব কালচারের বিস্তৃতি ঘটছে। পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীর বেশে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের হলে অবস্থান এবং নানা মোড়কে হল ও ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা অন্যতম ভূমিকা পালন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ঢাবি শাখা সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন প্রমুখ।
নতুন VC ও প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ হত্যাকান্ড কি না, তা খতিয়ে দেখা আবশ্যক মনে করি।