ভারত
সরকার দাবি মানলেও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জট এখনও কাটছে না, চলবে কর্মবিরতি
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১:২১ অপরাহ্ন
সাধারণ মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন কবে কাজে ফিরবেন ডাক্তাররা? আরজিকর কাণ্ডের পর থেকে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে অনড় তাঁরা । লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা । ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ও পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দিয়েছে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল তবে কি এবার কর্মবিরতি তুলে নেবেন জুনিয়র ডাক্তাররা? মঙ্গলবার জিবি মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে চিকিৎসকরা পরিষ্কার জানিয়েছেন এখনই কর্মবিরতি তুলবেন না তারা। বৈঠক শেষে জুনিয়র ডাক্তাররা বলছেন, ইতিমধ্যেই বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তার মধ্যে হল স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারিকে অপসারণ করতে হবে। সেই অপসারণ যতক্ষণ না হয় ততক্ষণ স্বাস্থ্যভবনের সামনে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। অর্থাৎ জারি থাকবে কর্মবিরতি। বুধবার ভোর থেকে ফের স্বাস্থ্যভবনের সামনে স্লোগান শুরু হয়েছে, একই ঝাঁজে আন্দোলন হচ্ছে। আরও অনেকে আসছেন আন্দোলনস্থলে। জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাত বলেন, প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি সম্পর্কে আমাদের যে দাবি ছিল সেই দাবিগুলো নিয়ে আমরা আলোচনায় বসতে চাই। একইসঙ্গে চিকিৎসকদের দাবি, রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ছাত্র সংসদ গঠন হোক। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ আলোচনাও হয় কিন্তু কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। এহেন পরিস্থিতিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঘটনায় রুষ্ট সুপ্রিম কোর্টও। আর জি কর মেডিক্যালে সিসিটিভি থেকে চিকিৎসকদের জন্য বিশ্রামাগার, শৌচালয়-সহ নিরাপত্তাহীনতার বাতাবরণ নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দেন, চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিতে চান, কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না তাঁরা। চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় এমন অনেকেই জড়িত আছে, যারা এখনও হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন যদি তারা হাসপাতালে কাজে ফেরেন তাহলে তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে সমস্যা হতে পারে।