বাংলারজমিন
সন্তানের চিকিৎসায় নিঃস্বপ্রায় পরিবার সহযোগিতার আকুতি
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবারআট বছর আগে রুবেল-সাবিনা দম্পতির ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় পুত্র আব্দুল্যাহ। তার জন্মের পর আশায় বুক বাঁধেন তারা। বড় হয়ে পরিবারের হাল ধরবে। তবে সেই আনন্দ আর আশা বেশি দিন টিকেনি। জন্মের ৬ মাস পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে আব্দুল্যাহ। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরের থ্যালাসেমিয়া শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে শুরু হয় অসহায় রুবেল-সাবিনা দম্পতির সংগ্রাম। উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধূমকেতু আবাসনে বাস করেন হতদরিদ্র এই দম্পতি। আব্দুল্যাহর বাবা জানান, জন্মের ৬ মাস বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোলা সদর হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান- আব্দুল্যাহ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। এরপর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসা করার পর আবার তাকে ঢাকার দেশ বাংলা মেডিকেলে নিয়েও চিকিৎসা করাই। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢামেক থেকে আবার পাঠানো হয় শ্যামলী শিশু হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই আব্দুল্যাহর চিকিৎসা চলছে। তিনি জানান, আমি জেলে মানুষ। নদীতে মাছ ধরে সংসার চালাই। এরইমধ্যে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। এর সব টাকাই ধারদেনা করা। এখন ছেলের চিকিৎসায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। তবে ছেলের চিকিৎসা এখনো শেষ হয়নি। লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাক্তন মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, থ্যালাসেমিয়া সাধারণত অল্প বয়সেই প্রকাশ পায়। যার জন্য বাচ্চাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বিঘ্ন ঘটে, রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, কপাল এবং পেট দিন দিন ফুলে যায়। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ বলেন, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আর্থিক সহায়তার জন্য আমাদের অফিসে আবেদন করা হয়েছে। আমরা ওই আবেদনটি জেলায় পাঠাবো। এরপর অনুমোদনের ভিত্তিতে বরাদ্দ আসলে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।