শেষের পাতা
অটোমেশনে ত্রুটি
৬ মাসেও পূরণ হয়নি বেসরকারি মেডিকেলের আসন
স্টাফ রিপোর্টার
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারছয় মাসেও শেষ হয়নি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি প্রক্রিয়া। অটোমেশন পদ্ধতিতে ত্রুটি থাকায় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর ছয় মাস পরও আড়াই শতাধিক আসন খালি রয়েছে বিভিন্ন কলেজে। এখনো এসব আসন পূরণ করার চেষ্টা করছে কলেজগুলো। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ১০ই মার্চ। ফলাফল প্রকাশিত হয় ১২ই মার্চ। সরকারি-বেসরকারি সব মেডিকেল কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে ২৪শে জুলাই। জানা গেছে, বেসরকারি বেশ কিছু মেডিকেল কলেজে আসন পূরণ হয়নি। ভর্তি কার্যক্রমও শেষ হয়নি। কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দায়ী করছেন বিএমডিসি’র অদূরদর্শী নীতিমালা ও ডিজি হেলথের সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি না নিয়েই অটোমেশন পদ্ধতি চালু করাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ভারতে ১ লাখ এমবিবিএস সিট ২ মাসে ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হয় সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ৬ হাজার বেসরকারি এমবিবিএস আসন ৬ মাসেও পূরণ করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান জানিয়েছেন, গত ২৫ বছরে এই প্রথম চাপিয়ে দেয়া নতুন অটোমেশন পদ্ধতির ফলে ২৫০ আসন এখনো পূর্ণ হয়নি। এ বছর ৩০০ এর বেশি মেডিকেল শিক্ষার্থী বিএমডিসি’র অনুমোদন নিয়ে বিদেশে পড়তে চলে গেছেন।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ৪৯ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৬ হাজার ৬০০ জন মেডিকেলে পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নতুন ভর্তি পদ্ধতির কারণে অসচ্ছল ও মেধাবীদের জন্য সংরক্ষিত ৮১ আসন এখনো শূন্য। অর্থাৎ বিনা খরচায় পড়ার আসনও শূন্য পড়ে আছে। ডেন্টালের অবস্থা আরও খারাপ, যেখানে ১ হাজার ৫০০ সিটের বিপরীতে পড়ার জন্য মাত্র ৫০০ জন আবেদন করেছেন। উল্লেখ্য, আগে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো বাছাই করে পছন্দের মেডিকেল কলেজে নিজ মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি হতেন। কিন্তু চলতি বছর এ সুযোগ রহিত করে নতুন অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়। নতুন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী আবেদনের পর একটি নির্দিষ্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি এসএমএসের মাধ্যমে তাকে জানানো হয়। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী পছন্দের প্রতিষ্ঠান পাননি। বিভিন্ন ধরনের খরচের ব্যাপারটি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের খরচের তারতম্য থাকায় শিক্ষার্থীরা সামর্থ্য অনুযায়ী কলেজ নির্বাচন করেন। তাই নতুন নিয়মে শিক্ষার্থীদের যে কলেজে সুযোগ দেয়া হয়েছে সেখানকার শিক্ষা ব্যয় শিক্ষার্থীর পরিবারের সামর্থ্যের বাইরে হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ভর্তি হতে পারেননি।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিট খালি থাকাই ভালো।এগুলোতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের না যাওয়াই উত্তম। এখানে কোনো লাশ ডিসেকশন করা শিখানো হয়না।ফাইনাল ইয়ারে উঠেও শিক্ষার্থীরা লাশের দেখা পায়না। ফলে তারা সার্জারির কিছুই শেখেনা।যে এক আধখান লাশ মেলে তা দেখলে মনে হয় তিন হাজার বছরের মিশরের কোনো পিরামিড থেকে উঠে আনা হয়েছে।অর্থ বাচাতে কর্তৃপক্ষ লাশ সংগ্রহে অনাগ্রহী। কৃত্রিম মানবদেহ ব্যবহার করতে পারে। অ্যাডভান্সড ডিজিটাল ডিসেকশন টেবিল ব্যবহার করে ডিজিটালি মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা লাভ করাতে পারে,যেটি সিমুলেশন।কিন্তু সেটাতেও আগ্রহ নেই।তাহলে অযথা শিক্ষার্থীদের কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ে লাভ কি? আমার পরিচিতির এক শিক্ষার্থীর বরাতে ও নিজ চোখে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে এই বয়ান।