অনলাইন
আলোচনার ডাকে সাড়া দিলেন না চিকিৎসকরা, অপেক্ষা করে ফিরলেন মমতা
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য, কলকাতা থেকে
(১ মাস আগে) ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৩:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৩০ অপরাহ্ন
জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু তাতেও চিড়ে ভেজেনি। পাঁচ দফা দাবিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে চলছে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে রাজ্য সরকারের পক্ষে একটি মেইল পাঠানো হয়। মেইলটি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সেই মেইলে বলা হয়, নবান্নে এসে সরকারের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল এসে দেখা করতে পারে। মেইলে ‘এখন’ শব্দটিও লেখা ছিল। শুধু তাই নয়, প্রতিনিধি দলে যে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন, মেইলে লেখা ছিল সে কথাও। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন আমরা এই মেইলে সাড়া দিতে পারছি না। অবস্থানে অনড় তারা। এদিকে মেইলে কোথাও লেখা ছিল না মুখ্যমন্ত্রী কথা বলতে চান। ৬ লাইনের মেইলে লেখা ছিল সিনিয়র গভর্নমেন্ট প্রতিনিধিরা কথা বলতে চান।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। সাড়ে সাতটায় তিনি বেরিয়ে যান নবান্ন থেকে।
জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই মেইলকে সদর্থক হিসেবে দেখছি না। আলোচনার পথ খোলা রাখতে চাই বলে স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে ই-মেইল আসা কষ্টকর। নট মোর দ্যান ১০জন, এটাকে অসম্মানজনক বলে মনে করছি। যেভাবে মেইল এসেছে সেখানে দাঁড়িয়ে এই মেইলে সাড়া দেওয়ার জায়গায় আমরা নেই। এরপরেও রাজ্য সরকার যদি ৫টা দাবির ব্যাপারে সদর্থক বার্তা পাই সেক্ষেত্রে কোথাও যাবো কি না সেটা ভেবে দেখতে পারি।
যদিও চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের জন্য আলোচনার দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যেভাবে আলোচনার পরিবেশ ভেস্তে গেলো, তাতে আগামী দিনে আবারও দু’পক্ষকে এক টেবিলে আলোচনায় বসতে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে।
I completely agree with Mr. Jahangir Kabir.
I completely agree with Mr. Shahid Uddin.
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভ্য ভারতের অসভ্য শাসক বিজেপির নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ গংদের রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার হচ্ছেন।