অনলাইন
মিউজিয়াম অবশ্যই প্রয়োজন তবে গণভবনে কেন, প্রশ্ন কর্নেল অলির
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ২:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
‘জাতীয় সংগীত একটি বিতর্কিত বিষয়, এটি পরিবর্তন করা যাবে না’-এক উপদেষ্টার এই বক্তব্য উল্লেখ করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ‘উপদেষ্টার জানা উচিত, জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করে সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব। আর গণভবন কারও বাপের ভবন না, বরং জাতীয় প্রতিষ্ঠান। মিউজিয়াম করা অবশ্যই প্রয়োজন, তবে প্রশ্ন হলো গণভবনে কেন? অন্য জায়গায় নয় কেন? জাতীয় প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার আইনগত ভিত্তি এখন কোথা থেকে পেলেন? ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর অন্য কিছুই অধিকতর গুরুত্ব পেতে পারে না।’
মঙ্গলবার রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার চরম আত্মত্যাগের বিনিময়ে দুর্নীতিবাজ, স্বৈরাচারী, টাকা পাচার, টাকা লুণ্ঠনকারী এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হয়েছে। এ অসীম আত্মত্যাগকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের সকল কর্মকাণ্ডগুলো স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দ্রুত গতিতে বাস্তবায়ন না হলে, সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। হুজুগের মাথায় লোক দেখানো কাজ করলে হবে না। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে মনোনয়ন বা নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও উপদেষ্টা এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অতীত ইতিহাস জানা না থাকলে বা রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব থাকলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে অথর্ব, অকর্মণ্য ও ধীরগতির ব্যক্তিদের দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হবে না। ছাত্র-জনতার রক্ত বৃথা যাবে।’
কর্নেল অলি বলেন, ‘আমরা এলডিপির পক্ষ থেকে গত ৮ আগস্ট দুই দফায় সংবাদ সম্মেলন এবং ৩১ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে মোট ৮৩টি প্রস্তাবনা উত্থাপন করি, যা আমাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নয়, বরং দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সংস্কার বাস্তবায়নের গতি হতাশাব্যঞ্জক।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের আমাদের ছেলে-মেয়েদের বা জনতার সরলতাকে পুঁজি করে কোনো অন্যায় পদক্ষেপ নেওয়াও ঠিক হবে না। এদেশে একনায়কত্ব স্বৈরশাসন কায়েমকারী, গণহত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী, টাকা লুণ্ঠনকারী, চাঁদাবাজ এবং জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নাই। এই দেশ এখন কারও বাপের সম্পত্তি না। যত দ্রুত সম্ভব আইন শৃঙ্খলার উন্নতি সাধন করতে হবে। আমরা জানি-বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি খুবই কঠিন কাজ। তবে পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর করতে হবে, তা না হলে গণহত্যাকারীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ ও সমস্যার অন্ত নেই। এ চ্যালেঞ্জগুলো দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবেলা করে জনগণকে স্বস্তি দিতে হবে। তা না হলে আমাদেরকে আরও কঠিন মূল্য দিতে হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, খাইরুল কবির পাঠান ও হামিদুর রহমান খান প্রমুখ।
নুতন প্রজ্বমের সুন্দর চিন্তাকে স্বাগত জানাই হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে,শত শত চোখের প্রদীপ নিভে যাওয়ার বিনিময়ে গনবিপ্লবের এই স্বারক ,স্বৌরাচারের পালিয়ে যাওয়ার শেষ চিণ্ণ হিসেবে গনবভনকে জাদুঘর করা সঠিক।
এই গণভবনে বসেই সকল সৈরাচারী এজেন্ডা বাস্তবায়নের ঘৃণ্য বর্বরোচিত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সকল প্রকার হত্যা,গুম, নরঘাতী আদেশ, নিদেশ প্রদান করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। শত,শত ছাত্র জনতা হতাহতের নিদেশ প্রদান করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তাই এই গণভবনেই শহীদের রক্তের প্রতি সন্মানাথে জাদুঘর নির্মান ও বাসতবায়নের ব্যবসথা গ্রহন করতে হবেই,হবে।
হাজার খানেক মানুষ মারা গেছে ২০ হাজার মানুষ অন্ধ বা পঙ্গু হয়েছে রাষ্ট্র তাদের জন্য কিছু করবে কি ? গণভবন এলাকাতে ফ্লাট বানিয়ে আহত মানুষগুলোকে পুনর্বাসন করা যেতে পারে।
গণভবন জনগণের সম্পত্তি। তাই জনগণের স্বার্থে এটাকে জনকল্যানমূলক কাজে ব্যবহার করা উচিত.
গনভবন থেকেই সব ফেসিস্ত কর্ম কাণ্ড পরিচালিত হত নির্দেশ দেয়া হত তাই এই ভবন ফেসিস্ত ভবন প্রধান চিহ্ন। আমার মনে হয় এই ভাবনা থেকেই হয়তোবা একাকে বেছে নেয়া হয়েছে।
শতভাগ সহমত। ধীর গতির সংস্কার এই বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছাড়া দেশ পরিচালনা করা কঠিন আবেগের বসে কিছু না করে বিবেক দিয়ে করায় শ্রেয়।
স্বৈরাচারের জাদুঘরের জন্য গণভবন সেরা জায়গা
গণভবন জনগণের সম্পত্তি। তাই জনগণের স্বার্থে এটাকে জনকল্যানমূলক কাজে ব্যবহার করা উচিত