অনলাইন
সহযোগীদের খবর
অনলাইন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:০২ অপরাহ্ন
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরানাম ‘এত বিদ্যুৎকেন্দ্র, তবু লোডশেডিং’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জ্বালানি নিশ্চিত না করেই একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। চাহিদাকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিবছর বড় সময় অলস বসিয়ে রাখতে হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র। দিতে হয়েছে অলস কেন্দ্রের ভাড়া। খরচের চাপ সামলাতে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেড়েছে, সরকারের দায় বেড়েছে। অথচ তিন বছর ধরে গরম বাড়লেই লোডশেডিংয়ে ভুগতে হচ্ছে মানুষকে।
নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েও (গত ৮ আগস্ট) পড়েছে একই সমস্যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি নেই। ফলে বেড়েছে লোডশেডিং। গতকাল সোমবার গড়ে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে। তিন দিন ধরে লোডশেডিং বাড়ছে। ঢাকার বাইরে কোনো কোনো এলাকায় গ্রামাঞ্চলে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। যদিও দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনসক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার ৭৯১ মেগাওয়াট। চাহিদা এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কম।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র বলছে, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের একটি টার্মিনাল (সামিটের মালিকানাধীন) তিন মাস ধরে বন্ধ। এতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ছে না। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এক হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন কমেছে। বিল বকেয়া থাকায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ কমেছে ৫০০ মেগাওয়াট। বেসরকারি খাতের তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও সর্বোচ্চ চাহিদায় উৎপাদন করা যাচ্ছে না। কারণ, তারাও অনেক টাকা পাবে। তাই ঘাটতি পূরণে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে এলএনজি থেকে আসে ১১০ কোটি ঘনফুট। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল গত ২৭ মে থেকে বন্ধ। এতে এলএনজি সরবরাহ দাঁড়িয়েছে দৈনিক ৬০ কোটি ঘনফুট।
সার্বিকভাবে দিনে এখন গ্যাস সরবরাহ নেমে এসেছে ২৬০ কোটি ঘনফুটে। বিদ্যুৎ খাতে গ্যাস সরবরাহ কমে দাঁড়িয়েছে ৮২ কোটি ঘনফুট। আড়াই মাস আগেও গ্যাস থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হতো। এখন হচ্ছে ৫ হাজার মেগাওয়াট।
যুগান্তর
শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রধান সংবাদ ‘ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ’। খবরে বলা হচ্ছে, শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পোশাকশিল্প। বিরূপ পরিস্থিতির কারণে আশুলিয়া, সাভার ও টঙ্গীতে সোমবার ১১৯টি কারখানা বন্ধ রাখা হয়। উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সময়মতো পণ্য জাহাজীকরণে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
অন্যদিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন বিদেশি ক্রেতারা, দিচ্ছেন না নতুন অর্ডার। সামগ্রিকভাবে পোশাকশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানান শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে দেশি ও বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। এর মধ্যে রাজনীতিও ঢুকে পড়েছে। এ সংকট দ্রুত শক্তভাবে প্রতিহত করতে না পারলে দেশের পুরো পোশাকশিল্পে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর-আশুলিয়া অঞ্চলে অনন্ত, শারমীন, হা-মীম, স্টারলিং গ্রুপসহ ৬৮টি কারখানা স্ব-বেতনে (লিভ ইউথ পে) বন্ধ রাখে। যেসব কারখানা খোলা ছিল, এর মধ্যে ১৩টি কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে বেরিয়ে যান। এছাড়া ৮টি কারখানা খোলা থাকলেও শ্রমিক ও বহিরাগতরা কাজ বন্ধ করে ভেতরে বিশৃঙ্খলা করেছে। সব মিলিয়ে ১১৯টি কারখানা বন্ধ রাখা হয়।
সমকাল
দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘টেকনাফ এখন ভাড়াটিয়া রোহিঙ্গাদের শহর!’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সামরিক জান্তার তুমুল লড়াইয়ে প্রাণে বাঁচতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা প্রায় প্রতিদিন বাংলাদেশে ঢুকছে। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী এ রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায়। এদের একটি বড় অংশ টেকনাফ পৌর এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকছে। কেউ কেউ ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
গত সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা ও লোকালয় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। পৌর শহর ও আশপাশে ভাড়া দেওয়ার মতো বাড়ির সংখ্যা শতাধিক। এর প্রায় সবটাতেই এখন রোহিঙ্গা ভাড়াটিয়া। এর বেশির ভাগই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতে, প্রতিটি এলাকা রোহিঙ্গায় ভরে গেছে।
তবে এ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে কত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে, তা কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, অন্তত আট হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে ঢুকেছে। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি- রোহিঙ্গা নেতাদের ভাষ্যমতে, রাখাইনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার হওয়ার পর পর থেকে যে এখন পর্যন্ত আধা লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে নতুন করে ঢুকেছে।
কয়েক দিন আগে রাখাইনের মংডুর নয়াপাড়া গ্রাম থেকে পালিয়ে টেকনাফে ঢুকেছে ফিরোজ কামাল ও তার পরিবার। গোদারবিলে একটি ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়েছে তারা। টিনশেড ছয় কক্ষের ওই ভাড়া বাসায় আরও দুটি রোহিঙ্গা পরিবার রয়েছে।
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘পছন্দের কর্তাদের কাঁধে চড়ানোর মাশুল’। খবরে বলা হচ্ছে, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বিসিএস অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে বাহিনীটির প্রধানের দায়িত্ব পান। চাকরির স্বাভাবিক মেয়াদ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি অবসরে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত তাকে একই পদে ফের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার।
তবে এখানেই শেষ নয়, চুক্তির ওই মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে গত ৫ জুলাই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আইজিপি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। অবশ্য এবার আর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি তার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৭ আগস্ট অবসরে পাঠানো হয় তাকে। আর এর এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গত ৩ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে আট দিনের রিমান্ডে আছেন। তার প্রতি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবল দুর্বলতা থাকায় পুলিশের রেকর্ড ভেঙে পরপর দুই দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান বলে অভিযোগ রয়েছে।
আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দ্বিতীয় দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দিলে আইজিপি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসানের। তিনি যাতে আইজিপি হতে না পারেন এবং পরবর্তী সময়ে নিজের আইজিপি পদে যাওয়ার পথ সুগম করতে এসবির তৎকালীন প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম শেখ হাসিনাকে ম্যানেজ করেন বলে পুলিশে আলোচনা রয়েছে। যদিও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দ্বিতীয় দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিতে বারবার অনীহা প্রকাশ করেও ব্যর্থ হন। একইভাবে অভিজ্ঞ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ডিঙিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার পদে নিয়োগ দেওয়া হয় হাবিবুর রহমানকে। এ দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতোই পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোতে নিজেদের ‘অতি পছন্দের’ লোকজনকে বসিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তারপরও ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে শেষমেশ তার পদ রক্ষা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Country must be back in business without delay’ অর্থাৎ ‘অবিলম্বে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফেরাতে হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শিল্প খাতে শ্রমিক অসন্তোষ এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নতুন প্রশাসনকে অর্থনীতিতে আস্থা পুনর্গঠনের দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন উদ্যোক্তা ও ব্যাংকাররা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানোকে কেন্দ্র করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাস্তায় বিক্ষোভ ও ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়।
এতে শিপমেন্ট বিলম্বিত হওয়ার কারণে ব্যবসা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
ইত্তেফাক
‘দালাল চক্রের সহায়তায় ফের আসছে রোহিঙ্গারা’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান সংবাদ। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ২০টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা কৌশলে অনুপ্রবেশ করছে। এ কাজে দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের এপারে আসতে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন দখল নিতে আরাকান আর্মি দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। সে সঙ্গে এ লড়াইয়ে আরো কিছু বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে।
জানা গেছে, আরাকান আর্মি গত ছয় মাস যুদ্ধে রাখাইনের অধিকাংশ অঞ্চল এবং দেশটির সেনা ও বিজিপির ক্যাম্প, চৌকি দখলের পরে মংডু শহর দখল নিতে এখন তীব্র হামলা চালাচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি বাহিনীও মংডু শহর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পালটা হামলা অব্যাহত রেখেছে। এ সংঘাতের জেরে মংডুসহ আশপাশের গ্রামে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের প্রাণহানি ঘটছে। এ কারণে নতুন করে ৮ থেকে ১২ হাজার রোহিঙ্গা নৌকা করে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। এই রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে সহায়তা করছে টেকনাফের স্থানীয় একটি দালাল চক্র।
আরো জানা গেছে, এই চক্র টেকনাফ সীমান্তের জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলি, বরইতলি, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলি, রাজারছড়া, বাহারছড়া ইত্যাদি পয়েন্ট দিয়ে সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে রোহিঙ্গাদের দেশে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এরপর রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফ ক্যাম্পে পরিচিত আত্মীয়স্বজনদের কাছে কিংবা টেকনাফের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় আশ্রয় গ্রহণ করছে।
মংডু থেকে দালালদের সহায়তায় টেকনাফে আসা রোহিঙ্গা রহিম উল্লাহ বলেন, রাখাইনে যুদ্ধ চলছে আরাকান আর্মি ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে। অথচ সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়। গ্রামের অনেক রোহিঙ্গাকে তারা বিনা কারণে হত্যা করেছে।