অনলাইন
ছাত্র আন্দোলন দমনে জড়িত সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে জরুরি ভিত্তিতে তথ্য চায় তদন্ত সংস্থা
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৯:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩২ অপরাহ্ন
ছাত্র আন্দোলন দমনে জড়িত কেউ যাতে পালাতে না পারে এবং সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে জরুরি ভিত্তিতে তথ্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার। এজন্য সংস্থাটি গত ১লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার কর্তৃক হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধেী অপরাধের তদন্তকাজে সহায়তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বেশকিছু তথ্য চেয়ে ৪টি চিঠি দিয়েছে।
সূত্র জানায়, গতকাল তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক মো. আতাউর রহমান সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার, সকল জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক, ঢাকা শহরের ও বাইরের সকল কলেজ, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন বরাবর হতাহতের তথ্য চেয়ে চিঠি ইস্যু করেছে।
পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর পাঠানো চিঠিতে ৭ ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে। আহত-নিহতদের তালিকা, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আহত-নিহত ও নিখোঁজদের তালিকা, কবরস্থানে দাফনকৃত শহীদদের তালিকা, গণকবর থাকলে দাফনকৃত শহীদদের তালিকা, শহীদদের পরিবারের সদস্যদের/ শনাক্তকারীদের নাম ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, জিআর সিআর মামলা হয়ে থাকলে এই সংক্রান্ত তথ্য ও আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী/দলীয় ক্যাডারদের ভূমিকা ও বিবরণ চাওয়া হয়েছে।
জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ও সিইউ/হেড অব নিউজ বরাবর ইসুকৃত চিঠিতে বলা হয়, গত ১লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলন দমনে তৎকালীন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, এমপি, দলীয় নেতৃবৃন্দ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্য ও বিবৃতি সংক্রান্ত রিপোর্ট। এ ছাড়া, হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, আটক, গুম, অগ্নিসংযোগ, চিকিৎসা প্রদান, ভিকটিমদের ওপরে নির্মিত বিভিন্ন নিউজ, ডকুমেন্টারি তথ্যাদি জরুরি ভিত্তিতে প্রেরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপররাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর এডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, হতাহতদের তথ্য সংগ্রহ করতে প্রসিকিউশন টিম এরইমধ্যে কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দ্রুত বিচার কাজ শুরু করতে আমরা চেষ্টা করেবো দিন-রাত কাজ করতে। তিনি আরও বলেন, তদন্তের স্বার্থে গণমাধ্যমের কাছে থাকা ভিডিও-ছবির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করার জন্যই এই উদ্যোগ। যাতে করে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকে। ক্ষতিগ্রস্তরা এই গণহত্যার বিচারের জন্য মুখিয়ে আছেন। সাক্ষীরাও আগ্রহী। আলামত তাজা থাকতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সর্বাগ্রে বিচার শুরু করা দরকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ওবায়দুল কাদের এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভিডিও দেখানো পুলিশ কর্মকর্তার । তৎপর পুলিশের উর্ধতন অফিসারদের । যারা অতি উৎসাহিত হয়ে আন্দোলনে ছাত্রদের উপর গুলি করতে পুলিশ কে আদেশ দিয়েছিলেন । হাসিনা ও রেহানা প্রমম ও দ্বিতীয় আসামি ।
এই বিচার-প্রক্রিয়া থেকে যেন ভুলেও কোনক্রমে বাদ না পড়ে চলচ্চিত্র জগতের শিল্পী কলাকুশলীরা তাদের কে আইনের আওতায় আনা না হলে বিচার-প্রক্রিয়া পুরোটায় অসমাপ্ত থেকে যাবে কারণ কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় তারা শিক্ষার্থীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে খুবই জঘন্য ভাষায় কথা বলেছিলেন কেননা তাদের একটাই স্বপ্ন শেখ হাসিনা কে খুশি করতে পারলে সহজে বিনা ভোটে এমপি হাওয়া যায়।
hope for the best