অনলাইন
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকের জামায়াতের আমীর
যৌক্তিক সময়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করে নির্বাচন দেবে সরকার
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১০:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৪ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা আশা করি- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌক্তিক সময়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশ পুনর্গঠনে জামায়াতকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। বুধবার রাতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকের তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমীর বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার গত দেড় যুগ ধরে বিরোধী মতের লাখ লাখ মানুষের ওপর হত্যা, গুম, জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। এ জুলুমের সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। স্বৈরশাসনামলে দেশের মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক নাগরিক অধিকার, বিরোধীমতের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। আওয়ামী সরকার দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
শফিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক করতে পেরে আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মরহুম মকবুল আহমাদ, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মাওলানা আবদুস সোবহান, অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমাদ, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলীসহ সকলদের, যারা ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেদের জীবনকে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। আমরা আরও স্মরণ করছি, দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর শহীদদের। আল্লাহ প্রত্যেককে শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন। যারা এ আন্দোলনে আহত হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সুস্থতার নিয়ামাত দান করুন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারী মতিউর রহমান আকন্দ, অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমীর সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন ও আবদুর রব।
১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি জামায়াতি ইসলামিকে বাংলাদের জনগন প্রত্যাখান করবে। দেশ চলবে ১৯৭১ সাল ও ২০২৪ বিপ্লবের চেতনায়।
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর এটিএম আজাহার কই বর্তমানে ?
সমাজের, রাজনীতির ও রাষ্ট্রের সকল সেক্টরে সূস্পস্ট ও দৃশ্যমান সংস্কার সম্পন্ন করা পর্যন্ত যতবছর প্রয়োজন ততবছর পর নির্বাচন হোক। নির্বাচনের পর বিজয়ী দল যাতে আবার স্বৈরাচারির ভূমিকা না নিতে পারে সেইরকম কাঠামোগত ব্যবস্থার পর নির্বাচন হোক।
ছাত্র জনতার রক্তক্ষয়ী গণ বিপ্লবের মাধ্যমের অর্জিত স্বাধীনতা যেন বিপ্লবের পক্ষের শক্তির অনৈক্য বিভাজিত বক্তব্য পারস্পরিক বিদ্বেষপূর্ণ আচরনে ভন্ডুল হয়ে না যায়। দেশের বর্তমান দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর উচিত যেকোন ধরনের কটাক্ষের সংশ্রব মিশ্রিত বক্তব্যদান থেকে বিরত থাকা। বিপ্লবের পক্ষের যেকোন শক্তিকে উৎসাহদান এবং সিসাঢালা ঐক্যের চির নিধনে কঠোর অবস্থানে থাকা নয়তো পরস্পরের বিভেদের সুযোগে আওয়ামী দানব আবার মাথা জাগাতে পারে। আওয়ামী স্বৈরাচারের খুন গুম হত্যা দুর্নীতি লুটপাট বেহায়াপনা ব্যাভিচার বেআইনি কর্মকান্ড ধর্ষনকান্ডের বিচারের বিষযে কঠোর মনোভাব ধারন করা, ক্ষমার বযান থেকে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করা। নয়তো বিক্ষুব্ধ নির্যাতিত স্বজন হারাদের ক্ষোভের বহ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত হয়ে জামায়াতের অবস্থানকে ভস্মিভূত করে দিতে পারে।
'যৌক্তিক সময়' একটা হাইপোথোটিকেল কথা/শব্দ। পরিমাপক সংখ্যাটা কত? নাকি আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসন করতে যত সময় লাগে সেটাই যৌক্তিক সময়? আপনারা/জামাতীরা তো আওয়ামীলীগ/জাতীয় পার্টিকে পুনর্বাসনের এক পাঁয়ে খাড়া। যেটা আমারা দেখেছি ১৯৮৬ থেকে ২০০০ সালে। আর কত?