বাংলারজমিন
ঝিনাইদহে এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার অধিকাংশ সভাপতি পলাতক
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট ২০২৪, বুধবারঝিনাইদহে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের বেশির ভাগ সভাপতি গাঢাকা দিয়েছেন। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন উত্তোলন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য ইতিমধ্যেই মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার সভাপতির মৃত্যু, পলাতক বা যেকোনো কারণে অনুপস্থিতির ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ। তারা সভাপতির পরিবর্তে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার শিটে স্বাক্ষর করবেন। এদিকে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় এমপিওভুক্ত কলেজ-স্কুল ও মাদ্রাসার সংখ্যা রয়েছে ৬২৭টি। জেলায় মোট স্কুলের সংখ্যা ৪৮৮, কলেজ ২৭টি ও মাদ্রাসা ১১২টি। জানা গেছে, বেশির ভাগ এমপিওভুক্ত কলেজ-স্কুল ও মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতাকর্মীরা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরশাসকের পতন ঘটলে জনরোষ এড়াতে জেলার এমপিওভুক্ত কলেজ-স্কুল ও মাদ্রাসার বেশির ভাগ সভাপতি পালিয়ে আছেন। এক সপ্তাহের বেশি তাদের কোনো খোঁজ নেই। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে বেতন শিটে সভাপতির স্বাক্ষর জটিলতা দেখা দিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। মহেশপুরের শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শওকাত আলী জানান, এমপিওভুক্ত কলেজ-স্কুল ও মাদ্রাসার বেতন জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয় থেকে আজই একটি চিঠি এসেছে।
চিঠিতে লিখা আছে জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ শিক্ষকদের বেতন শিটে স্বাক্ষর করতে পারবেন। এই সার্কুলার জারি হওয়ার পর শিক্ষক-কর্মচারীরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আজহারুল ইসলাম জানান, এমন খবর তিনিও শুনেছেন। তবে যারা পলাতক সেখানে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। আপাতত জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ শিক্ষকদের বেতন শিটে স্বাক্ষর করবেন বলে তিনি জানান।