বাংলারজমিন
গাজীপুর সিটি মেয়র জায়েদা খাতুন অফিস করছেন
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
১৪ আগস্ট ২০২৪, বুধবারবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস শুরু করলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন। অবশ্য এর আগেও তিনি প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রে সই করেছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন মঙ্গলবার গাজীপুর সিটির দুটি আঞ্চলিক অফিস গাছা ও পূবাইলে গিয়ে অফিস কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং নিজেও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সই করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদেরকে সাধ্যমতো জনস্বার্থে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ জরুরি সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাসুদুল হাসান বিল্লাল, প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান, কাউন্সিলর সুলতান উদ্দিন, কাউন্সিলর রফিকুল ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের পতন ও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর গাজীপুরের সরকারি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দেয়। স্থবির হয়ে পড়া সিটি করপোরেশনসহ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসগুলো নানা ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি বেড়েছে অফিসে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কয়েক দফা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বাসভবন। সরকারের পতনের পর ছয়দানা এলাকায় অবস্থিত চারতলা ওই ভবনটিতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করা হয়। আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার পরও জানালার গ্রিল, লোহার পাইপ, বাথরুম ফিটিংস যা কিছু অবশিষ্ট ছিল সবকিছু দেয়াল থেকে তিনদিন ধরে খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। গরু থেকে শুরু করে বাসার বাইরে যা ছিল তাও লুটপাট হয়েছে। তাদের ওই পরিত্যক্ত ভবনটি এখন কঙ্কালসার হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।