শেষের পাতা
‘আমি শহীদের বোন হিসেবে গর্ববোধ করি’
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১২ আগস্ট ২০২৪, সোমবার‘আমার ভাইয়ের সরকারি চাকরির কোনো প্রয়োজন ছিল না। কোনো দিন সে সরকারি চাকরি নিয়ে চিন্তা করে নাই। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের বিনিময়ে আল্লাহ যেন দেশে শান্তি ফিরিয়ে দেন। আমি গর্বিত। আমি মুগ্ধ’র বড় বোন। আমি একজন শহীদের বোন হিসেবে গর্ববোধ করছি।’ মুগ্ধর এক ফুপু বলেন, আমার ভাতিজার হাতে কোনো বোমা, রাইফেল, ছোরা ছিল না। শুধু পানি আর বিস্কুট নিয়ে গিয়েছিল মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। এভাবেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানান সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর স্বজনরা। গত শনিবার শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ছাত্র-নাগরিক সমাজের ব্যানারে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, বাংলাদেশ স্কাউটের জাতীয় কমিশনার নাজমুল হক নাজু, সাংবাদিক আল-আমিন শাহীন, যমুনা টিভি’র সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, শহীদ মুগ্ধের বোন নাসরিন আক্তার প্রমুখ। এতে নবীনগরের শহীদ তানভীরের বাবা শামসুজ্জামান, বিজয়নগরের শহীদ সাজিদুর রহমান ওমরের বাবা মো. শাহজাহান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিয়ালিশ্বরের শহীদ মুগ্ধের ফুপু ও এক বোন এবং নবীনগরের সুজয়ের পরিবারের সদস্য ছাড়াও জেলার প্রায় অর্ধশত সমন্বয়ক ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা গণহত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।