খেলা
সন্তানকে হত্যার হুমকি, আর্জেন্টিনায় ফিরবেন না ডি মারিয়া
স্পোর্টস ডেস্ক
১ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার
আর্জেন্টাইন ফুটবলার আনহেল ডি মারিয়ার মেয়েকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। একটি বুলেটবিদ্ধ শূকরের মাথা পাঠানো হয়েছে আর্জেন্টাইন তারকার পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। তার পাশাপাশি একটি চিরকুটও পাঠানো হয়। যেখানে তার মেয়েকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার শঙ্কায় নিজ দেশে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার উইঙ্গার ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনার টিভি স্টেশন ‘রোজারিও-৩’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডি মারিয়া বলেন, ‘আমার বোনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হুমকি দেয়া হয়েছে; একটি বক্সে করে শূকরের মাথা পাঠানো হয়েছে, যার কপাল বুলেটবিদ্ধ। চিরকুটও দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, আমি যদি রোজারিও ফিরি, তাহলে পরবর্তী মাথাটি হবে আমার (ছোট) মেয়ে পিয়ার।’ ডি মারিয়ার জন্ম আর্জেন্টিনার রোজারিওতে। যা আর্জেন্টিনার তৃতীয় বৃহত্তম শহর। সেখানকার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালের বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে এসেছেন ডি মারিয়া। কাতার বিশ্বকাপের পর ডি মারিয়া বলেছিলেন, তিনি নিজের শৈশবের ক্লাব রোজারিওতে ফিরতে চান। তবে বর্তমান সময়ে সেই শহরে গ্যাংভিত্তিক অপরাধের বিস্ফোরণ ঘটেছে। নিজ শহরে ফিরবেন না বলে ডি মারিয়া বলেন, ‘আমি এভাবে রোজারিওতে ফিরবো না। ওরা আমার পরিবারের প্রতি হাত বাড়িয়েছে, আমি কোনোভাবেই সেটা হতে দেবো না।’ এর আগেই ডি মারিয়া হত্যার হুমকি পেয়েছেন। মারিয়ার পরিবার যেখানে বাস করে, সেখানে গত মার্চে একটি চিরকুট পাঠানো হয়। সেখানে লেখা ছিল, যদি রোজারিওর কোনো ক্লাবে ডি মারিয়া যোগ দেন, তবে তার পরিবারের জীবনের হুমকি রয়েছে। আর্জেন্টিনার কর্তৃপক্ষ তখন বলেছিল, নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে হুমকিটি দিয়েছে অপরাধী চক্র। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলাররা অনেকবারই অপরাধীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গত বছর মেসির স্ত্রীর পারিবারিক দোকানে গুলি চালিয়েছিল বন্দুকধারীরা। আর্জেন্টিনার রোসারিওতে মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর পরিবারের মালিকানাধীন একটি দোকানে গুলি চালানো হয় মার্চেও ২ তারিখ। সেইসাথে মেসিকে হুমকি দিয়ে লেখা একটি কাগজ রেখে যায় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। ‘ইউনিকো’ নামের একটি খাবারের দোকানের মালিক আন্তোনেল্লার পরিবার। সে দোকানেই ছোঁড়া হয় মোট ১৪টি গুলি। রেখে যাওয়া চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মেসি আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। মেয়র জাভকিনও তোমাকে বাঁচাতে পারবে না, সে নিজেই মাদকের ব্যবসা করে।’ কিছুদিন আগে কলম্বিয়ার ফুটবলার লুইজ দিয়াজের বাবাকে অপহরণ করা হয়। ১২ দিন পর মুক্তি পান দিয়াজের বাবা।