শেষের পাতা
পানিবন্দি বুয়েট স্টাফ কোয়ার্টার
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ জুলাই ২০২৪, রবিবারতীব্র দুর্ভোগে বুয়েট বাসিন্দারা ছবি: জীবন আহমেদ
শুক্রবার আষাঢ়ে বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা। এদিন ঢাকায় ১৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এর একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো জলাবদ্ধতায় রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হল ও কোয়ার্টারগুলো। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলে এখনো পানি রয়েছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
গতকাল বিকাল ৩টায় বুয়েটের শিক্ষক ও কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা ঘুরে দেখা যায় এসব এলাকায় এখনো হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত। শিশুদের খেলার জন্য পার্ক জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। শিশুদের খেলার সামগ্রীগুলো পানিতে ভাসছে। অন্যদিনে এই পার্কে শিশুদের ভিড় থাকে। জলাবদ্ধতায় ছুটির দিনে খেলতে আসেনি কোনো শিশু। কোয়ার্টারের মধ্যে গিয়ে দেখা যায়, থাকার ঘরের মধ্যে পানি থই থই করছে। বাসার আসবাবপত্রগুলোও পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। সেখান থেকে বালতিতে ভরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন বাসিন্দারা। ভোগান্তি চরমে উঠেছে তাদের। এখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষায় এমন পরিস্থিতিতে দিন কাটান তারা। এবারের ভারী বৃষ্টিপাতে তাদের বাসায় পানি ঢুকে টয়লেটও ভেসে যায়। অথচ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নেয়া হয় না কোনো ব্যবস্থা। বুয়েটে অবস্থিত মেয়েদের সাবেকুন নাহার হলে গিয়ে দেখা যায়, বেজমেন্ট পানিতে থই থই করছে। ফুটপাথ দিয়ে কোনোভাবে শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করছেন।
ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলসহ অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে শোচনীয় অবস্থা বিরাজ করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে পানি রয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেল) মো. খায়রুল বাকের মানবজমিনকে বলেন, এটা বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের জলাবদ্ধতা। তাদের ক্যাম্পাসের ড্রেনেজ সিস্টেমে সমস্যা থাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। যদি ক্যাম্পাসের সামনে কোনো ধরনের জলাবদ্ধতা দেখা দিতো তাহলে সিটি করপোরেশনের দায়বদ্ধতা ছিল।
এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে নিউ মার্কেটের অধিকাংশ দোকানের সামগ্রী ভিজে গেছে। গতকাল সকালে ভেজা কাপড়, ব্যাগ, জুতা, ম্যাট্রেস, পর্দাসহ অন্যান্য সামগ্রী রোদে শুকাতে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় রাস্তার ওপরেই ভেজা কাপড়, কার্পেট, পর্দাসহ অন্যান্য সামগ্রী রোদে শুকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।