শেষের পাতা
হাসিনা এবং মোদির নতুন মেয়াদে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক?
মানবজমিন ডিজিটাল
১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার
জুন মাসে ১২ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’বার ভারত সফর করেন-প্রথমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং দ্বিতীয়বার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পর্যালোচনা করতে। ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদী, বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সামুদ্রিক অঞ্চল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং ভাষাগত মিল থেকে উদ্ভূত পারস্পরিক নির্ভরতার কারণে ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের সম্পর্ককে উচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। প্রধানমন্ত্রী পদে তাদের অবিচ্ছিন্ন মেয়াদ এবং মোদি ও হাসিনার শাসনকালে দিল্লি-ঢাকা সহযোগিতা আরও গভীর হয়েছে। এই বছর হাসিনা ও মোদি সরকারের পুনঃনির্বাচনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে। যে সেক্টরগুলি তাদের সহযোগিতার অগ্রভাগে ছিল সেগুলি একই আছে যেমন- সংযোগ এবং শক্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মতো পরিবেশগত উদ্বেগগুলিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানিয়েছে উভয় পক্ষ।
সংযোগের গুরুত্ব সর্বাগ্রে
‘সংযোগ’ উভয় সরকারের জন্য সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। কারণ এটি বাণিজ্যনির্ভর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সহজতর করে, বৃহত্তর জনগণের মধ্যে সংযোগ এবং ক্রস-কান্ট্রি নির্ভরতার পথ প্রশস্ত করে পারস্পরিক সদিচ্ছা প্রকাশ করে। বাংলাদেশ ভারত থেকে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করে এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে তার প্রতিবেশীর ওপর নির্ভর করে। ভারতের জন্য, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় তার বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং উন্নত সামুদ্রিক বাণিজ্যের সুযোগ থাকায় ভারতের স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্ব অঞ্চলগুলিকে সমুদ্রে প্রবেশাধিকার দেয়। উভয় সরকারই মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং সাম্প্রতিক বন্ধন এক্সপ্রেসের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় মহানগরী, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার মধ্যে সংযোগ জোরদার করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ভারত সরকার এবং বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির কারণে ভারতের উত্তর-পূর্বের কিছু অঞ্চলে জাতিগত সহিংসতা হ্রাস পেয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগ বিকাশের প্রচেষ্টা অবশেষে ফল দিচ্ছে। ২০২১ সালে, মিতালি এক্সপ্রেস ঢাকাকে উত্তর পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ির সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য চালু করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে, আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগও চালু করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশকে ত্রিপুরার সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মৈত্রী সেতুর মাধ্যমে শুরু হবে, যা ত্রিপুরার সাবরুমকে বাংলাদেশের রামগড়ের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ভবিষ্যতে, সাবরুম থেকে মাত্র ৫০ মাইল দূরত্বে অবস্থিত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এই লাইন ধরে ভারতের পণ্য পরিবহন করা হবে।
আসাম ও ত্রিপুরার উন্নয়নের জন্য ভারতের কাছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে হাসিনার প্রস্তাব অত্যন্ত লোভনীয়, কারণ এই বন্দরগুলি ভারতের কলকাতা বন্দরের চেয়ে উত্তর-পূর্বের কাছাকাছি। বিদেশি বাণিজ্যের বিকল্প অ্যাক্সেস হিসেবে নেপাল ও ভুটানের বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের মাধ্যমেও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল লাভবান হবে। একইভাবে, বাংলাদেশও তার বন্দরগুলির জন্য কার্গো বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং ভারতের সঙ্গে আরও সংযোগের কারণে উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন থেকে উপকৃত হবে। উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন এইভাবে সমগ্র অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নয়াদিল্লি এবং ঢাকাও দু’টি দেশকে সংযুক্ত করে এমন অভ্যন্তরীণ পানিপথের নেটওয়ার্ককে পুঁজি করতে চাইছে। ২০১৫ সালে দুই দেশ আন্তঃদেশীয় সংযোগ বৃদ্ধির জন্য অভ্যন্তরীণ পানিপথের ট্রানজিট এবং বাণিজ্যের জন্য প্রোটোকল রুট তৈরি করে। আগামী বছরগুলিতে এই কাঠামোর মধ্যে আরও রুট এবং কল পোর্ট অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরাসরি শিপিংয়ের মাধ্যমে ভারতের চেন্নাই বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামকে সংযুক্ত করার বিষয়েও আলোচনা করা হচ্ছে, যা দেশের বাকি অংশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব বাণিজ্যকে আরও ভালো করতে সাহায্য করবে।
মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায় বিশ্লেষকরা উত্তর-পূর্বে বাণিজ্য সুযোগ বাড়ানোর জন্য রাখাইন রাজ্যে ভারতের অধিগ্রহণ করা সিটওয়ে বন্দরের ব্যবহার যোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ বন্দর সংযোগের উন্নয়ন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে ভারতীয় সংযোগগুলিকে শক্তিশালী করা তার আঞ্চলিক নেটওয়ার্কগুলিকেও বাড়িয়ে তুলবে- থাইল্যান্ডের রণং বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরকে সংযুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যা কার্যকরভাবে ভারতকে তার অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি তুলে ধরার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেকটি রুট প্রদান করবে।
শক্তি সংযোগে ধারাবাহিকতা
দিল্লি বাংলাদেশকে তার জ্বালানি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা জারি রেখেছে। বিগত কয়েক বছরে, বাংলাদেশ বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং একটি জাতীয় পাওয়ার গ্রিড ব্যর্থতার সাক্ষী থেকেছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ঘাটতির জন্য দায়ী ব্ল্যাকআউটের ফলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে প্রায় ৫০ শতাংশ উৎপাদন কমে গেছে। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ সরকারকে রাস্তায় এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে জনসাধারণের কড়া প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে দু’টি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ জ্বালানি প্রকল্পের উদ্বোধন আওয়ামী লীগকে সমালোচনার মোকাবিলা করতে সাহায্য করেছিল। ২০২৩ সালে চালু হওয়া ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনটি বাংলাদেশে ডিজেল সরবরাহের খরচ কমানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং খুলনায় মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটটি দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেহেতু দুই দেশ নবায়নযোগ্য শক্তির রূপান্তর নিয়ে কাজ করছে, এই সেক্টরে সহযোগিতা আরও প্রসারিত হবে। বিশেষ করে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি চলছে, যার মাধ্যমে নেপাল ভারতীয় পাওয়ার গ্রিডের মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছে জলবিদ্যুৎ বিক্রি করবে। ফলস্বরূপ, কাটিহার-পার্বতীপুর-বোরনগরের মধ্যে একটি ৭৬৫ কেভি উচ্চ ক্ষমতার আন্তঃসংযোগ নির্মাণের কাজটি ভারতীয় আর্থিক সহায়তায় ত্বরান্বিত করা হচ্ছে, এই গ্রিড সংযোগের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য। তৃতীয় দেশে পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প গ্রহণের জন্য ভারত-রাশিয়া চুক্তির অধীনে, ভারতও বাংলাদেশের রূপপুরে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নতুন ফোকাস
যদিও সংযোগ এবং শক্তি ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার অন্যতম ধারক, তবে এই সহযোগিতার একটি ক্ষেত্র হিসাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আগামী বছরগুলিতে আকর্ষণ অর্জন করবে। উভয় দেশই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়, ঝড়বৃষ্টি এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যা সুন্দরবনের ভঙ্গুর ইকোসিস্টেমকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আঞ্চলিক দেশগুলিকে মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ ত্রাণ প্রদানে (HADR) তার দক্ষতার জন্য ভারত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশও জলবায়ু ঝুঁকির চ্যালেঞ্জগুলিকে উপলব্ধি করে এবং গত বছর চালু করা তার ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুকে যৌথভাবে এই হুমকির ব্যবস্থাপনাকে উচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। দুই দেশ ইতিমধ্যেই ২০২১ সালে একে অপরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। যৌথ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুশীলন পরিচালনার জন্য মউতে একটি বিধান রয়েছে, তবে এটি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ ভারত-প্যাসিফিক ওশান ইনিশিয়েটিভের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং ব্যবস্থাপনা স্তম্ভের সহ-নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে সম্মত হওয়ায়, এই সেক্টরটি অদূর ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সাক্ষী হতে পারে। দক্ষিণ বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এবং মজার বিষয় হলো, বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য চীনা বিনিয়োগের অনুরোধ করেছে। তা সত্ত্বেও, এই অঞ্চলে দুর্যোগ-প্রতিরোধী অবকাঠামো বিকাশে সাহায্য করার জন্য ভারত এবং ঐঅউজ-এর অন্যান্য আগ্রহীদের এখনো সুযোগ রয়েছে।
বিদ্যমান অভিযোগের সমাধান করা প্রয়োজন
ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের সরকারই তাদের সম্পর্কের ‘সোনালী অধ্যায়’ অনুভব করছে। তবুও এমন অভিযোগ রয়েছে যা সমাধান করা দরকার। এর মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি প্রধান। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত তিস্তা নদী দেশের উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীর জীবিকার উৎস। বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত তিস্তার পাশে যে বাঁধগুলি তৈরি করেছে তা উজানে পানির প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে, প্রতিবেশী দেশে পানির নিষ্কাশনকে প্রভাবিত করে, ফলে সেচ ব্যাহত হয়। সমস্যাটি ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মধ্যে ফেডারেল জটিলতার কারণে আটকে আছে এবং এটির একটি আন্তর্জাতিক সমাধানে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবে সম্প্রতি, ভারত বাংলাদেশের নদীর তীরে পানি সংরক্ষণে সহায়তার জন্য ঢাকার তিস্তা নদী সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তিস্তা সমস্যা লাঘব হবে। যদিও বাংলাদেশে চীনের কাছ থেকে অনুরূপ বিনিয়োগের প্রস্তাব রয়েছে এবং এক্ষেত্রে ঢাকা নয়াদিল্লি এবং বেইজিংয়ের মধ্যে কীভাবে ভারসাম্য বজায় রাখে তা দেখার বিষয়।
এ ছাড়া দুই দেশের জনগণের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এটি দৃশ্যমান হয়েছিল যখন ভারত ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগ করেছিল, যা বাংলাদেশি সমাজে মুসলিম বিরোধী হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। যার জেরে বাংলাদেশের মাটিতে ‘ইন্ডিয়া আউট’ এবং ‘বয়কট ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট’ প্রচারাভিযান শুরু হয়। তাই, ডিজিটাল জগতে যুবকদের সম্পৃক্ত করে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিশ্বাস পুনর্গঠনের প্রয়োজন, মতামত বিনিময় করা এবং নিজেদের ঐতিহ্যকে লালন করা গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও বাংলাদেশের সরকার উভয়েই এই বছর নতুন মেয়াদ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে, তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, যা ইতিমধ্যে সমগ্র অঞ্চলের জন্য একটি ‘মডেল’ হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছে, জোরদার করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। আশা করা হচ্ছে তারা বিদ্যমান বাধাগুলি কাটিয়ে উঠবে এবং আরও উন্নতি করবে। এটি শুধু দুই দেশের জন্যই লাভবান হবে না বরং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বৃহত্তর স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে। সংযোগ, বিনিয়োগ এবং ক্রস-আঞ্চলিক উদ্যোগের সঙ্গে, ভারত-বাংলাদেশ এই অঞ্চলে বাহ্যিক শক্তির প্রভাবকে সীমিত করার ক্ষমতা রাখে। একইসঙ্গে একটি অবাধ, উন্মুক্ত এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।
সূত্র: সাউথ এশিয়ান ভয়েসেস