খেলা
'এটা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না, আর কী বলব', আফগান ম্যাচ নিয়ে পাপন
স্পোর্টস ডেস্ক
(৮ মাস আগে) ২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২.১ ওভারের মধ্যে ১১৫ রান তাড়া করতে পারলে সেমিফাইনাল খেলতে পারতো বাংলাদেশ। তবে দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর সেই লক্ষ্য থেকে সরে আসে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ম্যাচ শেষে এটা নিশ্চিত করার পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়ে টাইগাররা। এবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন বললেন, সুপার এইটের ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ গ্রহণযোগ্য নয়।
আজ প্রায় চার ঘণ্টার বোর্ড মিটিং শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে ওই প্রসঙ্গে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে জেতা উচিত ছিল, আরও লড়াই করা উচিত ছিল। ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর চেষ্টা করবে না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ১২ (শেষ) ওভার পর্যন্ত চেষ্টা করা উচিত ছিল। যখন মারা দরকার তখন ডিফেন্ড করেছে, যখন ডিফেন্ড করা দরকার তখন মেরেছে। আমি আর কী বলব।’
তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রথম থেকেই বলছি। ওর (শান্তর) এই কথার সঙ্গে আমরা একমত না। এটা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না। ১২ ওভার পর্যন্ত (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) আমাদের লড়াই করা উচিত ছিল। দেখলাম যে যখন রক্ষণাত্মক খেলার দরকার ছিল তখন মেরে খেলেছে। আর যখন মেরে খেলার দরকার ছিল তখন রক্ষণাত্মক খেলেছে।'
তবে ওই উইকেটে রান করা সহজ ছিল না বলেও মনে করেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, '১২ ওভারে ১১৫ রান টি-টোয়েন্টিতে করা কোন ব্যাপারই না। এটা আমি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু ওই উইকেটে কেউ কি ওই রান করতে পেরেছে। অস্ট্রেলিয়াও তো আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে ওই উইকেটে। ওই কন্ডিশনটা সহজ ছিল না কিন্তু ওরা (বাংলাদেশ ব্যাটাররা) চেষ্টা করেছে।'
পাঠকের মতামত
আপনি পাপন সহ গোটা ক্রিকেট বোর্ড এবং হাতুড় সহ সবাই চলে যান । নইলে বাংলা ক্রিকেট বাচবেনা ।
ওরা কোন মানবে! আপনাকে দিয়েও যে হচ্ছে না, এটাও আপনি যেমন মানছেন না?
পদত্যাগ শব্দটি হারিয়ে গেলো। আহারে পাপন,আহারে শান্ত। এরা কি আবেগ ও গালি বুঝেনা? কষ্ট পেলে তেনারা কি কাঁদেননা? বাংলাদেশ থেকে দায়িত্ববোধ আর অযোগ্যতা হারিয়ে গেছে। এখানে চেয়ার পেলে সবাই যোগ্য। এখানে ইস্যু দিয়ে ঘটনা ও চোখের জল ঢাকা হয়।
বাংলাদেশের ১২ ওভারে জেতার জন্য ব্যাটিং অর্ডারে যে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন ছিল সেটা তারা করেনি। তাতেই বুঝা যায় সেমিফাইনালে খেলার কোন ইচ্ছা বা আগ্রহ অধিনায়ক বা কোচের ছিল না। যদি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে এই ম্যাচটি জিততে চাইতো তাহলে অফ ফর্মে থাকা, বিশ্বকাপে ব্যর্থ দুই ওপেনারকে তারা পাঠানো না। তামিম ও লিটন যখন ওপেন করতে আসলো তখনই বুঝেছি বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার কোন ইচ্ছা বা আগ্রহ নেই। কোচ হাতুরুসিঙ এর পরিবর্তন করাটাও অত্যন্ত জরুরি।
আমরাও মেনে নিতে পারছিনা যে পাপন সাহেব এখনো ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। আপনার চেয়ে অযোগ্য লোক হলেও আমরা পরিবর্তন চাই।
ব্যালেন্স করে কথা বলছেন। কোচ,অধিনায়ক, ওপেনিং অর্ডার নিয়ে কিছুই হলো না!
আমাদের হজম শক্তি বেশী বোর্ড সভাপতি বক্তব্য আমাদের হজম করতে হবে বিকল্প নাই। চারঘন্টি বৈঠক করেছেন কি সিদ্ধান্ত হলো? কোচ খেলোয়ার বিশ্বকাফে বাংলাদেশের শেষ খেলাটির এত সহজ ব্যাখা কিভাবে হয়। বোর্ড সভাপতি সব কিছুই জানেন। এটি নিয়ে তদন্তের প্রযোজন। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের মন্তব্য ডাল মে কোচ ===। বাংলাদেশ পাপন সাহেব কোচ সম্মিলিতভাবে দায়ী। ভবিষ্যতে ক্রিকেট গৌরবময় করার জন্যে বোর্ড সভাপতি কে আজকের বাস্তবতা মেনে পদত্যাগ করা উচিৎ ছিলো। কখনো করবেন না এটি শতভাগ সত্যি। সমালোচকদের সমালোচনা ক্রিকেট বোর্ডের কিছু য়ায় আসেনা। আসল কথা বিড়ালের গলায় ঘন্টি বাদবে কে। বিলিয়ন ডলার প্রশ্ন?