ইরানে চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহীম রাইসির মৃত্যুর পর ইরানে নতুন প্রেসিডেন্টের খোঁজে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ইরানের গণমাধ্যম তেহরান টাইমস জানিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এই ভোট গ্রহণ। দেশটিতে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ। এর আগে ২০২১ সালে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেসময় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ইব্রাহীম রাইসি। যিনি গত ১৯ মে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান। তার মৃত্যুর পরই দেশটির সংবিধান অনুযায়ী শুক্রবার নতুন প্রেসিডেন্ট খুঁজে পেতে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।

তেহরান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি ভোট শুরু হওয়ার পরপরই ব্যালটে তার ভোট প্রদান করেছেন। তিনি ইরানের সকল ভোটারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থায়িত্ব, ধারাবাহিকতা, মর্যাদা এবং সুনাম নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি সর্বস্তরের ভোটারদের অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।

রয়টার্সের পৃথক এক খবরে বলা হয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে দেশটির পরবর্তী সুপ্রিম লিডার কে হবেন সে বিষয়ে একধরণের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

কেননা অনেকেই ধারণা করছিলেন রাইসিই হবে ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। তবে গত মাসে রাইসির মৃত্যুতে পুরো উলোট পালট হয়েগেছে সেই সমীকরণ। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন এবারের প্রেসিডেন্ট ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতার পদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক নানা সঙ্কটের ফলে দেশটিতে এবারও ভোটারের উপস্থিতি খুব হতে পারে। এর আগের নির্বাচনেও ভোটারদের উপস্থিতি সবচেয়ে কম ছিল। ২০২১ সালের প্রেসিন্টে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র ৪৮ শতাংশ। যা ১৯৭৯ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। এবারও ভোটর উপস্থিতি কম হতে পারে।

আজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে চার প্রার্থীর মধ্যে, তারা হলেন- মোহম্মদ বাগরে গালিবাফ, সাইদ জালালি, মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি। তেহরানের মেয়র আলীরেজা জাকানি এবং সাবেক সংসদ সদস্য আমির-হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি যথাক্রমে বুধবার ও বৃহস্পতিবার তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।