দ্বিতীয় দফার ভোটের পথে ইরান!

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত সাঈদ জলিলি সামান্য ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। তার কাছাকাছি অবস্থান করছেন সংস্কারবাদী হিসেবে পরিচিত মাসুদ পেজেশকিয়ান। শুক্রবারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট গণনা চলছিল। এ  খবর দিয়ে এপি, অনলাইন বিবিসি বলছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত প্রাথমিক খবরে বলা হচ্ছে, শুক্রবারের এ নির্বাচনে সরাসরি জয়ী হওয়ার মতো অবস্থানে নেই  জলিলি। এরফলে সেখানে উপনির্বাচন বা দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন হতে পারে। এখন পর্যন্ত যে ভোট গণনা করা হয়েছে তাতে চূড়ান্ত ফল নিশ্চিত করে বলা যায় না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গণনা হয়েছে কমপক্ষে এক কোটি ভোট। তাতে জলিলি পেয়েছেন ৪২ লাখ ৬০ হাজার ভোট। আর পেজেশকিয়ান পেয়েছেন ৪২ লাখ ৪০ হাজার ভোট। অন্যপ্রার্থী পার্লামেন্টের কট্টরপন্থি স্পিকার মোহাম্মাদ বাঘের কালিবাফ পেয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ ৮০ হাজার ভোট।

শিয়া মতাবলম্বী ধর্মীয় নেতা মোস্তাফাপুর মোহাম্মাদি পেয়েছেন কমপক্ষে ৮০ হাজার ভোট।  ভোটাররা এ নির্বাচনে তিনজন কট্টরপন্থি প্রার্থী এবং একজন স্বল্প পরিচিত সংস্কারবাদী পেজেশকিয়ানকে প্রার্থী হিসেবে  পেয়েছেন। এর মধ্যে পেজেশকিয়ান হার্টের একজন সার্জন। ইরানে ইসলামী বিপ্লব হয় ১৯৭৯ সালে। তখন থেকে নারী এবং যারা মৌলিক পরিবর্তন চান তাদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেয়া হয় না। অন্যদিকে এই ভোটে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণকারীদের কোনো মনিটরিং নেই। তাদের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ও নেই। দৃশ্যত প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জলিলি এবং পেজেশকিয়ান কেউই শতকরা ৫০ ভাগ ভোট পাননি। যদি বাকি ভোট গণনার পর তাদের কেউই এই টার্গেট পূরণ করতে না পারেন, তাহলে ইরানে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন হবে আগামী শুক্রবার। ওদিকে নির্বাচনের দিন সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে নির্বাচনী বাক্স বহনকারী গাড়িতে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা হামলা করে। এ সময় নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর দু’জন সদস্য নিহত হন।