বিশ্বজমিন
ট্রাম্পের মামলায় উচ্চ আদালতের রায়ে হতাশ বাইডেন
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ দিন আগে) ২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:২২ অপরাহ্ন
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মামলায় দেশটির উচ্চ আদালতের রায়ে হতাশাব্যঞ্জক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উচ্চ আদালতের ওই রায়কে ‘বিপজ্জনক’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি। এছাড়া দেশটির আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পকে যেন প্রত্যাখ্যান করা হয় সে বিষয়ে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, সোমবার ট্রাম্পের মামলার রায়ের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে বেশ হতাশ হয়েছেন বাইডেন। পরে হোয়াইট হাউসের এক বক্তৃতায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাইডেন বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের মামলার রায় আমেরিকার জন্য ‘বিপজ্জনক নজির’ স্থাপন করেছে। এমন রায় কোনো প্রেসিডেন্টকে রাজা করে তুলতে পারে। বাইডেনের বক্তৃতায় তিনি মার্কিন জনগণকে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান।
বাইডেন আরও বলেছেন, এই রায়ের অর্থ হচ্ছে ২০২০ সালে নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে মামলা ছিল সেটি এখন বিলম্বিত হবে। যা আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পকে সুবিধা দেবে। তিনি আদালতকে উদ্দেশ্য করে বলেন তাদের রায়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের খারাপ পরিণতি হতে পারে। এছাড়া তিনি সতর্ক করেছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাজায় পরিণত হতে পারে।
উচ্চ আদালতের ওই রায়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় যেসব কাজের জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে সেসব অভিযোগের জন্য তিনি দায়মুক্ত।
বাইডেন বলেছেন, এখানের গণতান্ত্রিক জনগণ এই কথা বিশ্বাস করে যে আমেরিকায় কোনো রাজা নেই। আমরা প্রত্যেকেই আইনের চোখে সমান। ট্রাম্পেকে ইঙ্গিত করে বাইডেন বলেন, কেউ কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টও নন। বাইডেন মনে করেন আদালতের এমন রায়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে একজন প্রেসিডেন্ট এখন কী করবেন তার কার্যত কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে দাপ্তরিক কাজে একজন প্রেসিডেন্ট স্বেচ্ছাচারী- বাইডেন এমনটি উল্লেখ করে বলেছেন, উচ্চ আদালত একটি ‘বিপজ্জনক’ নজির স্থাপন করলেন। যার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট দাপ্তরিক কাজে আইনের কাছে দায়ী থাকবে না।
গত সপ্তাহের শেষ দিনে অর্থাৎ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে মুখোমুখি হন বাইডেন ও ট্রাম্প। সেখানে ট্রাম্প বাইডেনকে অনেকটাই ধরাশায়ী করেছেন। বারবার বাইডেনকে ‘দুর্বল’ বলে অভিহিত করেছেন। অবশ্য দৃশ্যত বাইডেনকে কিছুটা বিহ্বলই মনে হয়েছে। সেই বিতর্কের পর বাইডেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী থাকবেন কি থাকবেন না সে বিষয়ে জোরালো একটি আলোচনা শুরু হয়েছে যদিও বাইডেন তেমন কোনো ইঙ্গিত দেননি।
বাইডেন আপনি নেতানিয়াহু’র সাথে গলা পেচিয়ে থাকেন আর কোন কাজ নাই।