বিশ্বজমিন
বাংলাদেশে দুর্নীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানালেন ডোনাল্ড লু
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
![mzamin](uploads/news/main/114213_loo.webp)
বাংলাদেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। তিনি বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশে সফর নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমন প্রতিশ্রুতির কথা জানান তিনি।
ভয়েস অব আমরেকার সাংবাদিক লুর কাছে জানতে চান, আপনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং আর্থিক সুশাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য আপনার সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ লড়াইয়েরই একটি অংশ?
ওই সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডোনান্ড লু বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত মে মাসে আমরা ৭০৩১ (সি) ধারার অধীনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ‘পাবলিক ডেজিগনেশন’ (এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা) ঘোষণা করি। দুর্নীতির এ অভিযোগগুলোর ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীরা বিবৃতি দিয়েছেন, আমরা এ ব্যাপারটি স্বাগত জানাই।
অদূর ভবিষ্যতে অন্যান্য উচ্চ-প্রোফাইলের বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপরও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র আরোপ করবে কিনা ভয়েস অব আমেরিকার এমন প্রশ্নে তিনি বলেন- যখন আমাদের কাছে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকে, তখন আমরা সারা বিশ্বেই নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা বিধিনিষেধের আকারে প্রকাশ্যে পদক্ষেপ নিই। আমাদের আইনগুলো আমাদেরকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা তাদের দুর্নীতির অর্থের গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট। আমি আশা করি, আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করে যাবো।
বিরোধী দলের সঙ্গে দেখা না করার প্রসঙ্গে ডোনাল্ড লু বলেন, এটা প্রাক-নির্বাচনের সময় নয়, তাই এবারের সফরে আমি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করিনি। তবে এটা সত্য যে গত বছর নির্বাচনের আগে আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকের সুযোগ পেয়েছিলাম।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কিছু অংশ নিয়ে খ্রিষ্টান জাতি রাষ্ট্র গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযোগ এবং বিমানঘাঁটি নির্মাণের বিষয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। নির্বাচনের সময় আমাদের অগ্রাধিকার ছিল শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফর করেন।
পাঠকের মতামত
বিশ্বের সর্বচ্চো দুর্নীতির দেশ যুক্তরাস্ট্র। যেই দেশের প্রেসিডেন্ট ও তাঁদের পরিবার পর্যন্ত দুর্নীতির দায়ে আদালতে বিচারের কাঠ গড়ায়। তাঁরাই আবার অন্য দেশের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে। কথায় আছে শয়তানের লাজ-লজ্জা বলে কিছুই নেই।
দয়া করে কেহ আমেরিকা কে বিশ্বাস করবেন না! আমেরিকা যে কতটা জঘন্য এবং ডবল স্ট্যান্ডার্ড তা এখন প্রায় সকলেই জানেন!! Root of all evils!!!
দূর্নীতি দমনে বাংলাদেশের সাথে যদি যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে তাতে সুফল পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। যুক্তরাষ্ট্রকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নিজস্ব সূত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে এককভাবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া। দূর্নীতিবাজরা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় ইউরোপ এবং অন্যান্য উন্নত দেশেও যেন প্রবেশ করতে না পারে সে ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া অত্যন্ত জরুরি।
আমেরিকা যেদিকে নজর দেয় সেইদিজ ই মরুভুমিতে পরিনত হয়,তাই আমেরিকার নিজের চরকায় তেল দেয়া উচিৎ।
যদি পারেন বেনজীরকে আপনাদের বিচারের আওতায় নিয়ে দুর্নীতির বিচার করুন। সংখ্যা লঘুদের জমি জোর জুলুম করে দেশকে দুর্নীতির মুখে ফেলে দিয়েছে।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কিছু অংশ নিয়ে খ্রিষ্টান জাতি রাষ্ট্র গঠনে --কার কথা বিশ্বাস করবো ?