উচ্চ আদালতের রায়ে ট্রাম্পের উচ্ছ্বাস

শীর্ষ আদালতের মামলায় জয় পেয়েছেন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি। এছাড়া ওই রায়কে দেশের সংবিধান এবং গণতন্ত্রের বড় জয় বলেও উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। সোমবার রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, এই রায় আমাদের সংবিধান এবং গণতন্ত্রের জন্য বড় জয়। আমেরিকান হতে পেরে আমি গর্বিত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এতে বলা হয়, সোমবার ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি মামলার রায় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আদালত। এই রায়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে ট্রাম্প এবং তার আইনজীবীরা যে ব্যাপক সুযোগের আশা করেছিলেন তা পাননি। নভেম্বরে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে উচ্চ আদালতের এই রায়ে অনেকেটাই সুবিধাজনক স্থানে চলে গেলেন ট্রাম্প। 

২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগসহ বেশ কয়েকটি মামলার বিচারকাজ চলমান রয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি আদালতে দেশটির পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলায় উসকানি, পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ প্রদান, কর ফাঁকি এবং রাষ্ট্রের গোপন নথি সরানোর অভিযোগে মামলা চলছে।

এছাড়া ড্যানিয়েলকে ঘুষ প্রদানের ঘটনায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের জেলা আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগের বিচার এখনও চলমান রয়েছে। 

সোমবার উচ্চ আদালতের ৬ সদস্যের বেঞ্চ ওই রায় ঘোষণা করেছেন। তবে তাদের ৩ জন রায়ে সমর্থন জানাননি। এই রায়ের মাধ্যমে ট্রাম্প আগামী নির্বাচনের আগে কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া থেকে নিরাপত্তা পেলেন। কেননা যেসকল আদালতে ট্রাম্পের মামলা বিচারিক কার্যক্রম চলছে তাদের উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাদের বিচারকার্য পরিচালনা করতে হয়।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তার মূল সাংবিধানিক দায়িত্বের সাথে সম্পর্কিত দাপ্তরিক কাজের জন্য দায়মুক্ত। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে যেসব কর্মকাণ্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসবের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে ট্রাম্পকে। এক্ষেত্রে কোনো সুবিধা পাবেন না তিনি। মূলত উচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি মামলার বিচারিক কাজ নিম্ন আদালতগুলোতে স্থানান্তরিত হবে। যারফলে ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে মামলার বিচার প্রক্রিয়া একটি দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে পড়বে এবং তা রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক হবে ট্রাম্পের জন্য। নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই যদি এসব মামলার রায় ঘোষিত হতো তাহলে তা নির্বাচনে ট্রাম্পের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতো।