বিশ্বজমিন
পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভিক্টর অরবান ইউক্রেন সফরে এবং কূটনৈতিক হিসাব
মানবজমিন ডেস্ক
৩ জুলাই ২০২৪, বুধবার![mzamin](uploads/news/main/116768_putin.webp)
হাঙ্গেরির কর্তৃত্ববাদী শাসক ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভিক্টর অরবান ইউক্রেন সফরে গিয়েছেন মঙ্গলবার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন চালানোর পর এটাই হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের প্রথম ইউক্রেন সফর। হাঙ্গেরি সরকারের মুখপাত্র জোলটান কোভাকস মঙ্গলবার এক্সে দেয়া পোস্টে বলেছেন, মঙ্গলবার সকালে কিয়েভ পৌঁছেছেন ভিক্টর অরবান। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ইউরোপিয়ান শান্তি নিয়ে আলোচনা করবেন। এই দুই নেতার মধ্যে শান্তি অর্জনের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। পাশাপাশি হাঙ্গেরি ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয় তো আছেই। ইউক্রেনকে সমর্থন করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। কিন্তু সেক্ষেত্রে ভিক্টর অরবান একজন বিভাজন সৃষ্টিকারী।
যুদ্ধকালে কিয়েভকে আরও সামরিক ও আর্থিক সমর্থন দেয়ার যে উদ্যোগ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নিয়েছে, তাতে নিয়মিত বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন কর্তৃত্ববাদী ভিক্টর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার আছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
৬ মাস পর যে দেশ প্রেসিডেন্সির দায়িত্বে আসে তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সার্বিক এজেন্ডাকে নিয়ন্ত্রণ করে না। কিন্তু এই প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে তাদের অগ্রাধিকারকে সামনে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করে। গত সোমবার এই দায়িত্বে এসেছেন ভিক্টর অরবান। এ সময় তার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক স্লোগানের মতো স্লোগান তিনি উচ্চারণ করেছেন। তা হলো- মেক ইউরোপ গ্রেট এগেইন। এতে ইউরোপের অনেক নেতাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যারা মনে করছেন হোয়াইট হাউসে ফিরতে পারেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি ক্ষমতায় এলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভাগ্যে কী ঘটবে তা নিয়েও তারা চিন্তিত। ইউরোপিয়ান কূটনীতিকদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং জুলাইয়ে হওয়ার পরিকল্পনা আছে। ৯ থেকে ১১ই জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাটো পালন করবে ৭৫তম বার্ষিকী। সেখানে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা নেয়া হবে তার মধ্যে ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদে সমর্থন দেয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার পেতে পারে।
ওদিকে ১৮ই জুলাই বৃটেনে হবে ইউরোপিয়ান পলিটিক্যাল কমিউনিটি (ইপিসি)-এর বৈঠক। ইপিসি হলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভেতরের এবং বাইরের ৪৭টি দেশের একটি ফোরাম। এই ফোরামের সদস্য ইউক্রেন এবং হাঙ্গেরিও। এতে কৌশলগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। ধারণা করা হয় যে, সেখানে এজেন্ডায় অগ্রাধিকার পাবে ইউক্রেন।
সশরীরে তাতে যোগ দিতে পারেন জেলেনস্কি।