খেলা
ওয়েস্ট ইন্ডিজও পারলো না ‘অভিশাপ’ কাটাতে
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবারটি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বাগতিক হওয়া যেন অভিশাপ। সেটা এবারো কাটলো না। সেই প্রথম আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শুরু করে এরপর ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান, অস্ট্রেলিয়ার পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। কোনোবারই স্বাগতিক দলের হাতে ওঠেনি শিরোপা। এবারো সুপার এইট থেকে বাদ পড়েছে দুই স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতলেই সেমিফাইনালে উঠতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঘরের মাঠে এমন ম্যাচে জয়ের কাছে গিয়েও হারতে হয় ক্যারিবিয়দের। অ্যান্টিগায় কোয়ার্টার-ফাইনালে রূপ নেয়া ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্যারিবিয়ানদের ১৩৫ রানে আটকে রাখে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের রান তাড়ায় দুই ওভারের পর বৃষ্টি নেমে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। পরে ডাকওয়ার্থ পদ্ধতিতে নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১৭ ওভারে ১২৩। নানা নাটকীয়তা পেরিয়ে সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে তারা ৫ বল বাকি রেখে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায়ে নিশ্চিত হয় এবারো কোনো স্বাগতিক দেশ শিরোপা জিতছে না। আর অক্ষুণ্ন থাকছে আগের সব আসরের রেকর্ডও। এর আগে রোববার ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর নিশ্চিত হয় আরেক স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ও। তারা আগে ব্যাটিং করে মাত্র ১১৫ রান করে। জস বাটলারের তাণ্ডবে ১০ ওভারের আগেই সেটা টপকে যায় ইংলিশরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল বলছেন স্বাগতিক হিসেবে পাওয়া সমর্থনের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর তিনি বলেন, ‘(সমর্থকেরা) দারুণ ছিল। প্রতিটি ভেন্যু যেগুলোতে আমরা খেলেছি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবক’টিতে তারা আমাদের যা দিয়েছে, দল হিসেবে সেগুলোকে সাধুবাদ জানাই। অনেকদিন ধরে ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহটা কমে এসেছিল, সেটি ফিরতে দেখে ভালো লাগছে। এখন মানুষ খেলোয়াড়দের ঘিরে মিছিল করছে। সংগীতের সময় আমরা খেলোয়াড়েরা কিছু অনুভব করি আর সেটা ঠিক পথেই এগোচ্ছে। শুধু অ্যান্টিগা নয়, পুরো ক্যারিবীয় অঞ্চলের মানুষকেই ধন্যবাদ এগিয়ে আসার জন্য।’ ২০১২ ও ২০১৬ সালে শিরোপা জয়ী টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সোনালি সময়টা পেরিয়ে এসেছে বলে দাবি করেন অনেকে। ২০১৬ সালের পর থেকে সেমিফাইনালে উঠতেও ব্যর্থ দলটি। তবে পাওয়েল দেখতে পাচ্ছেন ইতিবাচক দিক। তিনি বলেন, ‘বড় পরিসরে তাকালে দেখবেন, আমরা বিশ্বকাপ জিতিনি বা সেমিফাইনালেও উঠিনি। কিন্তু গত ১৫ মাসে যে ক্রিকেট খেলেছি, র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বর থেকে ৩ নম্বরে এসেছি এটা প্রশংসাযোগ্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট নিয়ে ক্যারিবীয়তে অনেক উন্মাদনা আছে। এখন সেখানেই কাজ শুরু করতে হবে। দল হিসেবে কাজ করতে হবে এবং ক্যারিবীয় মানুষদের গর্বিত করতে হবে।’ অন্যদিকে যুক্তরাষ্টের ব্যাপারটা ভিন্ন। তারা প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই উঠেছে সুপার এইটে। এ প্রসঙ্গে দলটির সহ-অধিনায়ক অ্যারন জোন্স বলেন, ‘আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ। আমার মনে হয় না লোকে ভেবেছে আমরা এখানে এসে (সুপার এইটে) বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলবো। আশা করি এটি আমেরিকান জনগণের চোখ খুলে দেবে। আমরা বিশ্বকাপের সময় অনেক বার্তা ও কল পেয়েছি।’