ঢাকা, ১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

হার্ভার্ডের সমীক্ষা: এলিয়েনরা হয়তো আমাদের মধ্যেই মানুষের ছদ্মবেশে বাস করছে

মানবজমিন ডিজিটাল

(৯ মাস আগে) ১৫ জুন ২০২৪, শনিবার, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

mzamin

হার্ভার্ড শিক্ষাবিদদের একটি সমীক্ষা অনুসারে এলিয়েনরা নাকি আমাদের মধ্যেই বসবাস করছে।হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির হিউম্যান ফ্লোরিশিং প্রোগ্রামের একটি সমীক্ষা পরামর্শ দেয় যে, অজানা বায়বীয় ঘটনা (ইউএপি), যা সাধারণত ইউএফও নামে পরিচিত, বহির্জাগতিক প্রাণীর উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে। গবেষকরা তথাকথিত 'ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস' নিয়ে তদন্ত করেছেন। ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালরা চার প্রকারের হতে পারে। প্রথম প্রকার হলো- হিউম্যান ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস। মনে করা হয়, পৃথিবীতে প্রাচীনকালে এক প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত মানব সভ্যতা ছিল। বহুকাল আগে তা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সেই সভ্যতার কয়েকজন এখনও টিকে আছে এবং বর্তমান মানব সভ্যতার মধ্যে মিশে আছে। দ্বিতীয় প্রকার হলো- হোমিনিড বা থেরোপড ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস।

প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত কিন্তু অ-মানব কোনও সভ্যতার প্রাণীরা আজও গোপনে এই পৃথিবীতে বসবাস করতে পারে। এরা বানরের মতো হোমিনিড বা অজানা কোনও বুদ্ধিমান ডাইনোসরের বংশধর হতে পারে। তৃতীয় প্রকার হলো-প্রাচীন ভিনগ্রহী বা এক্সট্রাটেম্পেস্ট্রিয়াল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস। এই প্রাণীরা মহাজগতের অন্য কোনও গ্রহ থেকে বা ভবিষ্যতের পৃথিবীতে থেকে বর্তমানের পৃথিবীতে এসে থাকতে পারে। চাঁদের মাটির নীচের মতো জায়গায় লুকিয়ে থাকতে পারে এরা। আর চতুর্থ প্রকার হলো- ম্যাজিক্যাল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হিউম্যান ফ্লোরিশিং প্রোগ্রাম’ এর একদল গবেষক দাবি করেছেন যে , এই পৃথিবীতেই রয়েছে আমাদের বহু-প্রত্যাশিত এলিয়েন বা ভিনগ্রহী প্রাণীরা। তবে আমরা তাদের চিনতে পারছি না। কারণ তারা ছদ্মবেশে থাকছে। হয়তো মানুষের বেশেই রয়েছে তারা। তাই তাদের চিনতে আরও অসুবিধা হচ্ছে আমাদের।গবেষণাপত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব রয়েছে এবং তারা হয়তো মাটির নীচে, চাঁদে কিংবা পৃথিবীতে মানুষের ভিড়ে মিশে আছে। 

গবেষণায় ইউএফও বা আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্টস ধারণা নিয়েও অনুসন্ধান করা হয়েছে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘অজ্ঞাত অস্বাভাবিক ঘটনা’, অর্থাৎ, ইউএফও বা ভিনগ্রহীরা চাঁদের মাটির নীচে, এমনকি, মানুষের মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে। আর মাঝে-মাঝেই যে অজানা বায়বীয় ঘটনার সম্মুখীন হন পৃথিবীর মানুষ, ইউএফও দেখার দাবি করেন, তা সত্যি সত্যিই ভিনগ্রহীদের স্পেসশিপ হয়ে থাকতে পারে। সম্ভবত, পৃথিবীতে যে ভিনগ্রহীরা থাকে, তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে তারা। গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, এই বিষয়ে অসংখ্য প্রমাণ এবং তত্ত্ব রয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, তাদের এই গবেষণা ‘অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের কাছে সন্দেহজনকভাবে বিবেচিত হতে পারে’। তবে তারা বিজ্ঞানীদের খোলামেলা মনোভাব নিয়ে’ তাদের দাবি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

পাঠকের মতামত

গবেষণার সাথে কোরআন নাও। সব উত্তর পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

ওয়াসিম আকরাম
১৬ জুন ২০২৪, রবিবার, ৪:৪৯ অপরাহ্ন

কোরানের একটি আয়াত আছে" মানুষ রুপী শয়তান এবং জিন পরস্পর বাক্য বিনিময় করে"। বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো এদের সন্ধান পেয়েছেন।

এন আই সিদ্দিকী
১৬ জুন ২০২৪, রবিবার, ৬:২৩ পূর্বাহ্ন

অস্বাভাবিক কল্পনা । তারা চেহারায় ভিন্ন, মানুষের ভাষা জানে না, তাই ছদ্মবেশ অসম্ভব।

Kazi
১৫ জুন ২০২৪, শনিবার, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

হার্ভার্ডের গবেষণা সঠিক।তবে তারা তাদের গবেষণা পত্রের সাথে কুরআনের বাণীকে সাথে নিলে উত্তর পেয়ে যেতো। আল্লাহ মানুষের সাথে জ্বিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। যারা বিভিন্ন বেশে চলতে পারে। বায়বীয় বা দৈহিক রূপ নিয়ে ছদ্মবেশে মাটিতে, মাটির নীচে এবং আকাশে অনায়াসে চলতে পারে। তাদের মধ্যে রয়েছে বুদ্ধিমান ও বোকা। ভালো ও মন্দ স্বভাব। তাদের জ্ঞান অর্জন করার এবং প্রযুক্তিতে উন্নত হওয়ার ক্ষমতা আছে। তাদের মধ্যে ভালোদের আমরা ভালো বলি। সারা বিশ্বেই তাদের মধ্যে মন্দদের ভূত বলে।

A.T.M.Toha
১৫ জুন ২০২৪, শনিবার, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন

ঘোড়ার ডিম

শিয়াল পন্ডিত
১৫ জুন ২০২৪, শনিবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

ইহা একটি আজাইরা গবেষণা

Md Abdullah
১৫ জুন ২০২৪, শনিবার, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন

জ্বিন জাতি এই পৃথিবীরই একটি বুদ্ধিমান প্রানী; যারা মানুষের বহু আগেই পৃথিবীতে এসেছে। মুসলিমরা যাকে বলে জ্বিন, হিন্দুরা বলে ভুত-প্রেত আর খৃষ্টানদের কাছে তারা হচ্ছে অতৃপ্ত আত্মা। বিষয়টা একই।

Taufiqul
১৫ জুন ২০২৪, শনিবার, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া/ আমাকে হত্যা করতে কর্নেল জিয়াকে নির্দেশ দেয়া হয়

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status