শেষের পাতা
মিনায় সমবেত হচ্ছেন হজযাত্রীরা, কাল হজ
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ জুন ২০২৪, শুক্রবার
আজ থেকে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। এদিন হজযাত্রীরা সফেদ সাদা কাপড়ে ইহরাম বাঁধা অবস্থায় পবিত্র মক্কা থেকে তাঁবুর শহর বলে পরিচিত মিনায় সমবেত হবেন। এ বছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৩০ লাখ হজযাত্রী এই হজ পালন করছেন। তারা মিনায় সমবেত হয়ে আল্লাহর ইবাদতে
রাত্রিযাপন করবেন। এর আগে হজযাত্রীরা সাফা-মারওয়ার মধ্যে ৭ বার সাঈ করেন। মিনায় রাত্রিযাপন শেষে শনিবার ভোর থেকে- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক। লা শারিকা লাক’- ধ্বনিতে ছুটে যাবেন ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে। সেখানে বিশ্ব মুসলিম উম্মার উদ্দেশ্যে দেয়া হবে খুৎবা। জোহর ও আসরের নামাজ একত্রে আদায় করবেন হজযাত্রীরা। সারাদিন সেখানে খোলা আকাশের নিচে এক আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকবেন। এ দিনটিতে মূলত পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। এ জন্য এদিনকে বলা হয় হজের দিন। এদিন বিশ্ব জুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রোজা পালন করেন। হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দানের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ছুটে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে শনিবার খোলা আকাশে ইবাদত বন্দেগির মধ্যদিয়ে রাত্রিযাপন করবেন। পরদিন মিনা ও জামারায় ফিরে যাবেন। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এদিন সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য সহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম দিন পালন করা হবে। সক্ষম মুসলিমরা এদিন পশু কোরবানির মধ্যদিয়ে নিজের ভেতরকার পশুত্বকে বর্জন করবেন। কোরবানি শেষে হজযাত্রীরা নিজেদের চুল কামিয়ে ইহরাম ত্যাগ করবেন। এরপর চূড়ান্ত দফা পবিত্র কাবাকে তাওয়াফ করতে ফিরে যাবেন মক্কায়। এর মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হবে পবিত্র হজ। অনলাইন আল জাজিরা বলছে, মুসলিম সম্প্রদায়ের বার্ষিক সবচেয়ে বড় সমাবেশের অন্যতম পবিত্র হজ। আরবি ক্যালেন্ডারের শেষ মাস জিলহজের ৮ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত এর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এ বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ শুরু হচ্ছে ১৪ই জুন, শুক্রবার। আর পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে ১৬ই জুন বা রোববার। হজ হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভ এবং পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। সক্ষম সব মুসলিমের জীবনে একবার হজ করা ফরজ। বিগত বছরের তুলনায় প্রতি বছর হজ ১০ থেকে ১২ দিন এগিয়ে আসে। ১০ই জিলহজ পালিত হয় ঈদুল আজহা। ঈদুল ফিতরের পর দ্বিতীয় বড় উৎসব এটি। ২০২৩ সালে প্রায় ১৮ লাখ ৫০ হাজার মুসলিম হজ পালন করেছেন। শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ হাজী ছিলেন বিদেশি। বাকি এক লাখ ৮৪ হাজার ছিলেন সৌদি আরবের। এশিয়ার দেশগুলো থেকে গিয়েছিলেন ১০ লাখ ৫০ হাজার হাজী। মোট হাজীর মধ্যে তারা ছিলেন শতকরা ৫৭ ভাগ। আরব দেশগুলোর হাজী ছিলেন তিন লাখ ৪৬ হাজার এবং আফ্রিকার দেশগুলোর ছিলেন দুই লাখ ২২ হাজার হাজী। গত বছর পুরুষ হাজী ছিলেন ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৫৯৪ জন। নারী ছিলেন ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৩৫১ জন।
পাঠকের মতামত
আল্লাহ তায়ালা সবার হজ্জ কবুল করুন এবং যারা এখনো হজ্জ করতে পারেন নি তাদের কে হজ্জ করার তাওফীক দান করুন। আমাদের কে ও বারবার বায়তুল্লাহ শরীফ জিয়ারত ও হজ্জের জন্য কবুল করুন আমিন।
মহান আল্লাহ আরাফার মাঠে সমবেত সকলের হজ্জ কবুল করুন।