বাংলারজমিন
কাস্টমস কর্তাদের যোগসাজশে শতকোটি টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে বিড়ি কোম্পানিগুলো
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে
১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার
পাবনার বিভিন্ন বিড়ি কোম্পানি নকল ও ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে শতকোটি টাকার ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পাবনা জেলা বিড়ি শ্রমিক মজদুর ইউনিয়ন। তাদের দাবি- জেলার অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে লাইসেন্সবিহীন কিছু কোম্পানি এইসব ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে। বুধবার (১২ই জুন) দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশননের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর শুল্ক আরোপকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলেন, ‘শ্রমিক দিবস মাসে আমরা পাবনা জেলা বিড়ি শিল্পে ভ্যাট ও ট্যাক্সের দুর্দশা রোধ ও বিড়ি শিল্প রক্ষায় একাধিক মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু আজ অবধি জেলা কাস্টমস কর্মকর্তারা কোনো প্রকার গ্রহণযোগ্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। রাজস্ব ফাঁকি দেয়ায় কিছু কোম্পানি জাল/নকল ও ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে তাদের বিড়ি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে, অথচ তাদের কম খুচরা মূল্যের বিড়ির কারণে সরকারের রাজস্ব আদায় ও জেলার প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি ফ্যাক্টরিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ পাবনা জেলার ২২টি কোম্পানির মধ্যে ১০টির নাম উল্লেখ করে হারিক হোসেন গত ২০২২-২৩ এবং ’২৪ অর্থবছরে প্রায় শতকোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য তুলে ধরেন। তার দাবি- কোম্পানিগুলো কাস্টমস কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে ম্যানেজ করে প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবাধে এই অবৈধ ব্যবসার স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে পাবনাসহ পাশের কয়েকটি জেলাতে। এইসব রোধ করা গেলে শুধু পাবনা জেলা থেকেই প্রতি বছর ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রানী খাতুন, সাধারণ সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ, অর্থ সম্পাদক উৎসব আনন্দ রায়, শ্রম সম্পাদক চামেলী খাতুন, প্রচার সম্পাদক দুলাল মোল্লা এবং কুষ্টিয়া জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।