ভারত
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ‘পাক-যোগ’-এর অভিযোগ বিজেপির, শুরু রাজনৈতিক তরজা
মানবজমিন ডিজিটাল
(৯ মাস আগে) ২৬ মে ২০২৪, রবিবার, ১:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৮ অপরাহ্ন

পাকিস্তানের মন্ত্রীর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সমর্থনকে কেন্দ্র করে শুরু রাজনৈতিক তরজা। শনিবার সকালে নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিল্লিতে ভোট দেয়ার পরে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছিলেন কেজরি। সেই ছবিই রি-পোস্ট করে পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরী লিখেছিলেন, ‘আমি আশা করছি যে, শান্তি ও সদ্ভাবের মাধ্যমে ঘৃণা ও সন্ত্রাসবাদী শক্তির পরাজয় হবে।’
তাতে পাল্টা জবাব দিয়ে কেজরি লিখেছেন, ‘চৌধুরী সাহেব, আমি এবং আমার দেশের মানুষ নিজেদের বিষয়, সামলে নেয়ার জন্য পুরোপুরিভাবে সক্ষম। তার জন্য আপনার টুইটের প্রয়োজন নেই। বর্তমানে পাকিস্তানের অবস্থা খুবই খারাপ। আপনি নিজের দেশ সামলান। ভারতে যে নির্বাচন হচ্ছে সেটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সন্ত্রাসবাদের সব থেকে বড় প্রযোজকের হস্তক্ষেপ ভারত বরদাস্ত করবে না।’
পাক মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরী কেজরির আগে চলতি মে মাসেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভিডিও শেয়ার করে প্রশংসামূলক পোস্ট করেছিলেন। তাতে বিজেপির পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে পাকিস্তানের সমর্থক বলে তুমুল সমালোচনাও করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও গান্ধী এবং কংগ্রেসের নিন্দা করে বলেছিলেন যে গান্ধীকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী করতে পাকিস্তান মরিয়া। এবার কেজরিকে পাক মন্ত্রীর সমর্থন নিয়ে ময়দানে নেমে পড়লো বিজেপি। এই ঘটনা কাকতালীয় নয় বরং কেজরিওয়াল যে দেশের শত্রুদের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলেন তারই প্রমাণ বলেই তোপ দেগেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এদিন রাহুল ও কেজরিকে একযোগে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘পাকিস্তানে রাহুলের মতোই কেজরিরও বড় সংখ্যায় সমর্থক রয়েছে।’ দিল্লি বিজেপির প্রদেশ অধ্যক্ষ বীরেন্দ্র সচদেব এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বিদেশি অনুদান গ্রহণকারী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সমর্থন করছে পাকিস্তান। সেটাও আবার দিল্লির ভোটের দিনে, পাকিস্তান থেকে সমর্থন জানিয়ে বয়ান, কাকতালীয় হতে পারে না।’
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
পাঠকের মতামত
ভারতের বিজেপি নেতা-নেত্রী দের মানসিকতা সেইম বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মতো যেমন পাকিস্তানের ইমরান খান কে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে যারা কিছুদিন সেখানে ক্ষমতায় বসে ছিল ঐসময়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব বিলওয়াল ভুট্টো কোনো একটি দেশ ভ্রমনের মাঝপথে তখন চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে কিছু সময়ের জন্য যাত্রা বিরতি করেছিল মিস্টার ভুট্টো সঙ্গে সেই সময়ে ততকালীন তথ্যমন্ত্রী জনাব হাসান মাহমুদ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন কিন্তু এই সাক্ষাৎ যদি বিএনপির কোনো নেতা করতো তাহলে আওয়ামী লীগের নেত্রী সহ অনেকে বিএনপির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ আবিষ্কার করে ফেলতেন কারণ তাদের ফরমুলাতে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলতে কিছুই নেই তারা যাহা করে তাহাই ১০০% সঠিক।
এখনও কি ভারতীয়রা এত অজ্ঞ ? বিজেপি ভারত বাসিকে ঝুঝুর ভয় দেখিয়ে বোকা বানাতে চায়।