রাজনীতি
সরকারের পতন ঘটবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না: আব্বাস
স্টাফ রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৪ মে ২০২৪, শনিবার, ২:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ পূর্বাহ্ন
বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, গ্রেপ্তার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না, আমার জানা নেই। একদিন না একদিন জনরোষের মুখে এই স্বৈরশাসকের (সরকার) পতন ঘটবেই। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিবের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতেও পারবেনা সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একমাত্র একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। কিন্তু নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখ দিয়ে মানায় না।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তো সরকারই দেখি না। এটা তো নির্বাচন করে সরকার হয়নি। সুতরাং এ সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে তখন এই সরকারকে ফেলে দিবে। তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে আব্বাস বলেন, আমরা কতবার বলেছি, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠান। উনার অবস্থা বেশি ভালো না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কাদের সাহেব বললেন, "জেলে কোন রাজবন্দী নেই"। কী সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ১/১১ তে জেলে ছিলেন, আপনি কী চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? নাকি রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন- আমি জানতে চাই।
১/১১’র সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই। আপনাদের মনে থাকে না, একটা মামলা দিবেন, জেলে পাঠাবেন। আর বলবেন, রাজনৈতিক কোন রাজবন্দী জেলে নাই। এরা হলো মামলার আসামি। আরে কোন মামলার আসামি? রাজনৈতিক মামলার আসামি। যারা আপনাদের বিরুদ্ধে কথা বলে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।
হা হা হা হা !!!!!!!! আসনে বরকীঈদের পরেই বুঝি ?????
কোন শতাব্দীতে?