ঢাকা, ২২ মে ২০২৪, বুধবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

দেশ বিদেশ

লাকসামে সরকারি ধানের বীজে কৃষকের সর্বনাশ

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১ মে ২০২৪, বুধবার
mzamin

লাকসাম গোবিন্দপুর ইউনিয়নসহ সব এলাকায় সরকারি ধানের বীজ ৩০৫ ও ৩০২ ধান চাষ করা হয়েছে। সমস্ত ধান বাস্টার রোগে আক্রান্ত হয়ে চিটা হয়ে গেছে। এতে কৃষকরা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। সরকারি কৃষি অফিসে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট চাষীরা। এ জাতের ধান কেন নষ্ট হয়ে গেছে? তা সরজমিন পরিদর্শনের জন্য ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এর নিকট চিঠি দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান। 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লাকসামে বোরো স্কিম ধান করার জন্য কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে প্রতিজন কৃষককে ২ কেজি করে বীজ ধান দেয়া হয়। এর মধ্যে মোটা ধানের বীজ স্বর্ণা সুপার বোল্ড বীজ, সুপার হাইব্রিড, বিধান ৭৪, ৭৯, ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতীয় ধানের বীজ ও চিকন ধান ফলানোর জন্য ভারতীয় বীজ উইন ৩০৫ ও ৩০২। গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রাম লক্ষীপুর, আতাকরা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে ২ কেজি করে এ ধানের বীজ সরবরাহ করে। কৃষকরা জানায়, চিকন ফলানোর জন্য বাজারে ভালো মূল্যের আশায় এ ধানের বীজ জমিতে লাগানো হয়। শফিকুর রহমান নামে একজন কৃষক বলেন, আমি একই জমিতে সরকারি দেয়া উইন ধান চাষ করি, আর বাজার থেকে ক্রয় করে মোটা জাতীয় ধান চাষ করি। ধান ক্ষেতে সব সময় পানি, সার, কীটনাশক ঔষধ দিই।

বিজ্ঞাপন
উইন জাতীয় ধান গাছ যখন বড় হতে থাকে। তখন ধান গাছে বিভিন্ন জাতের রোগ দেখা দেয়।

 ডিসি অফিসারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করলে উনারা যেসব কীটনাশক ঔষধ দেয়ার জন্য বললে, আমি সহ অন্যান্য কৃষকরা সার, কীটনাশক ধান গাছে দেই। কৃষকরা জানান, প্রতি গন্ডা ১০০০ টাকা খরচ হয়েছে। রহিম নামে আরও অন্যান্য কৃষকরা জানান, আমরা বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছি। কৃষকরা বলছে ধান বিক্রি করে এনজিও এর টাকা পরিশোধ করবে। এখন আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। কোথা থেকে এ টাকা শোধ করবো। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা। উত্তরদা ইউনিয়নে চন্দনা গ্রামের খসরু নামে এক কৃষক বলেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার দীপঙ্কের পরামর্শে স্বর্ণা সুপার ধান বীজ কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে ২ কেজি ধান বীজ লাগানো হয়েছে। বেশ ভালো ফসল হয়েছে। 

অন্যান্য একজন কৃষি কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, এ জাতীয় ধান চাষ করতে হলে, তাপমাত্রা ২৪০ থাকতে হবে। ধান ক্ষেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস ও পানি থাকতে হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, সরকার চিকন জাত ধান উৎপাদন করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য উইন ৩০৫ ও ৩০২ ধান দেওয়া হয়। তিনি বলেন, বাকই ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক এ ধান উৎপাদন করেন। সেখানে ভালো ফসল হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। গোবিন্দপুর ইউনিয়নে ধান নষ্ট হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি বিভিন্ন গ্রামে ধান ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। কেন হয়েছে? তা জানার জন্য আমি ধান গবেষনা ইন্সটিটিউটে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তা সরজমিনে পরিদর্শনের জন্য গবেষকগণ আসবে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরবর্তী পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করবো। যাতে ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে নিতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status