দেশ বিদেশ
লক্ষ্মীপুরে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, গাড়ি ভাঙচুর, আহত ৫, চেয়ারম্যানসহ আটক ৮
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২২ মে ২০২৪, বুধবারলক্ষ্মীপুরে কাজিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টার সময় ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- রাহিম হোসেন, মেহেদী হাসান, মনির হোসেন, ফয়সাল ইসলাম, রাজু হোসেন, শাওন ইসলাম ও তানভীর। আটককৃত সবাই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাতের অনারস প্রতীকের কর্মী ও সমর্থক। এ সময় সাংবাদিকসহ আহত হয়েছে ৫ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে একটি মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও তিনটি অটোরিকশা। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কাজিরখিল সরকারি প্রাাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাতের আনারস প্রতীকের সমর্থকরা কাজিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৭ জনকে আটক করে। এ ছাড়া কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে বাদুর ইউপি চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। দুপুরে উপজেলার বাদুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে অনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত কেন্দ্র দখলের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
অপরদিকে রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদের সামনে প্রতিপক্ষ প্রার্থী আলতাফ হোসেন হাওলাদারের ২ কর্মী কবির পাটোয়ারী ও নুর নবী। সকাল ১০টার দিকে রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ছবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ভোটের শুরুতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন হাওলাদারের এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয় প্রতিপক্ষ চেয়াম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ। মামুনুর রশিদ লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের ভগ্নিপতি। চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন হাওলাদারের চিফ এজেন্ট ইছমাইল হোসেন খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদ বলেন, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে ওই দুইজন আমার কর্মী। পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ভোটাররা যেন সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়। দুই উপজেলার ১৮১টি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।