খেলা
আবারো ফিফা’র শাস্তির মুখে শেখ রাসেল!
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবারতৃতীয়বারের মতো বিদেশি ফুটবলারদের দেনা-পাওনা সংক্রান্ত জটিলতায় পড়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। উজবেক ফুটবলার আব্দুলখাকভ আব্দুরাকমকে ঢাকায় চলতি মৌসুমে এনেছিল দলটি। পরবর্তীতে দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। চুক্তি অনুযায়ী সম্মানী না পেয়ে ফিফায় আবেদন করেছেন উজবেক ফুটবলার। ফিফা উজবেক ফুটবলারের আবেদন আমলে নিয়ে বাফুফেতে চিঠি দিয়েছে। বাফুফে সেই চিঠি শেখ রাসেলকে প্রেরণ করেছে। সেই চিঠিতে শেখ রাসেল ক্লাবকে ৪৫ দিনের মধ্যে (৮ই এপ্রিল থেকে) ২৮ হাজার ডলার ও এর সঙ্গে পাঁচ শতাংশ অর্থ যোগ করে উজবেক ফুটবলারকে দিতে বলেছে। ৪৫ দিনের মধ্যে এই অর্থ না দিলে শেখ রাসেলের ওপর খেলোয়াড় নিবন্ধনের নিষেধাজ্ঞা আনবে ফিফা। কিছুদিন আগে শেখ জামাল ধানমণ্ডিও উজবেক ফুটবলার ওতাবেককে নিয়ে এমন ঘটনায় পড়েছিল। পরবর্তীতে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে সেই জটিলতা নিরসন হয়েছে। এর আগেও দু’দফা ফিফার শাস্তির মুখে পড়েছিল শেখ রাসেল। একবার ২০১১ সালে, আরেকার ২০১৫ সালে। ২০০৯ সালে জার্মানির খেলোয়াড় মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সঙ্গে পুরো মৌসুমের জন্য চুক্তি করে শেখ রাসেল। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয় দলটি। দেশে ফিরে ফিফার কাছে অভিযোগ করেন আবদুল্লাহ। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা খতিয়ে দেখে ফিফা। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত জরিমানার শিকার হতে হলো বাংলাদেশের ক্লাবটিকে। ২০১১ সালের জুলাই মাসে জরিমানার ৩৭ লাখ টাকা পরিশোধ করে শেখ রাসেল। ২০১৫ সালে শেখ রাসেলের জার্সিতে খেলেছিলেন সাবানাভিচ। কিন্তু নিজের বেতনের ৪ হাজার ১২৬ ডলার পরিশোধ করা হয়নি বলে তিনি ফিফায় নালিশ ঠুকে দিয়েছিলেন। ক্লাব বেতন পরিশোধ করেনি বলে ৪ হাজার ১২৬ মার্কিন ডলার চেয়ে ফিফায় নালিশ করেন তিনি । ফিফা দ্রুত তার বেতন দিয়ে দেয়ার নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু শেখ রাসেল সেই নির্দেশ পালন করতে দুই বছর সময় নিয়ে ফেলাতে বড় শাস্তি পায় শেখ রাসেল। সেবার শেখ রাসেলকে মোট দেড় হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানার সঙ্গে লীগের অর্জিত পয়েন্ট থেকে ৩ পয়েন্ট কেটে নেয়ার নির্দেশ দেয় ফিফা।