শেষের পাতা
সিলেটে উন্মাদনা ঠেকাতে সড়কে সরব ছিল জনতা
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবারঈদের পরদিন। সিলেটের জৈন্তাপুরের দরবস্ত। হঠাৎ করে মাঠে নামলো জনতা। খোলা ট্রাকে কিংবা পিকআপে করে যারাই যাচ্ছেন তাদের আটকে দেয়া হচ্ছে। খুলে নেয়া হয় মাইকও। কোনো কোনো ট্রাক আটকিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি আলোচিত হয় সিলেট
জুড়ে। কেন এমন করা হচ্ছে; দরবস্তের একজন জানান, ঈদের দিন বিকাল থেকে শতাধিক খোলা ট্রাক ও পিকআপে করে তরুণ ও যুবকরা উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে নেচে-গেয়ে জাফলং যাচ্ছিল। আজান কিংবা নামাজের সময়ও তারা মানেনি। এতে করে স্থানীয় জনতা শব্দ দুষণের কবলে পড়েছিলেন। একই সঙ্গে যারা নেচে-গেয়ে খোলা ট্রাকে যাচ্ছিল তাদের জীবনও ছিল ঝুঁকিতে। এ কারণে জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে অবস্থান নেন। মূলত ঈদের পরদিন শুক্রবার দুপুরে তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে যারা ডিজে করে করে যাচ্ছিল তাদের থামান। শান্তিপূর্ণ তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং গাড়ি থেকে মাইক খুলে রেখে দেন। ফেরার পথে ওই তরুণরা মাইক নিয়ে যান। স্থানীয় হরিপুর, বাঘের সড়ক, দরবস্ত, সারি ও জৈন্তাপুর এলাকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, উচ্চস্বরে ডিজে গান বাজানোর কারণে এলাকায় শব্দ দুষণ বেড়ে যায়। ক্ষণে-ক্ষণে মাইক বাজিয়ে গাড়ি যাচ্ছিল। এর গানের তালে তালে নাচছিল তরুণরা। তাদের উন্মাদনার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন পরিবার নিয়ে আসা বেড়াতে আসা লোকজন। একই সঙ্গে এলাকার মানুষও ছিলেন অতিষ্ঠ। এ কারণে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এই ব্যবস্থা করা হয়। তারা জানিয়েছেন, কয়েকশ’ গাড়িকে তারা আটকিয়ে ফিরিয়ে দেন। যারা জাফলং যেতে চেয়েছিল কেবলমাত্র তাদেরই মাইক খুলে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর আর ওই রুটে পহেলা বৈশাখের দিন তেমন গাড়ি যেতে দেখা যায়নি। ট্রাক কিংবা পিকআপ চালকরা মানুষ পরিবহন থেকে বিরত থাকেন। জৈন্তাপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানিয়েছেন, একেক ট্রাকে করে ৩০ থেকে ৪০ জন যুবক কিংবা তরুণ যাচ্ছিল। গানের তালে তালে তারা নাচছিল। এ কারণে তাদের জীবনও ঝুঁকিতে ছিল। সার্বিক দিক বিবেচনায় স্থানীয়রা শান্তিপূর্ণভাবে এ কাজ করেছেন। এতে কেউ মনোক্ষুণ্ন্ন হননি। এলাকার মূল উদ্দেশ্য ছিল উন্মাদনা ঠেকানো। এদিকে- জাফলং যাওয়ার পথে পথিমধ্যে ওইসব যুবকরা ব্যারিকেডে পড়ার কারণে এবার জাফলং পর্যটন স্পটে তেমন উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়নি। বাধার মুখে পড়ার কারণে অনেক ট্রাকই ফিরে আসে। এই অবস্থায় পুলিশও ছিল সক্রিয়। জাফলংয়ের পর্যটন স্পটের প্রবেশমুখে পুলিশ ছিল। যারা খোলা ট্রাকে গেছে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। সিলেট হাইওয়ে পুলিশের তামাবিল জোনের ওসি ইউনূস মিয়া মানবজমিনকে জানিয়েছেন- খোলা ট্রাক কিংবা পিকআপে মানুষ পরিবহন সম্পূর্ণ অবৈধ। এ কারণে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ওই রুটে চলাচলকারী ট্রাক ও পিকআপকে ধরে মামলা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রাক ফিরিয়ে দিয়েছে। ঈদের পরদিন বিষয়টি নজরে আসার পর পুলিশ সক্রিয় হয়। পহেলা বৈশাখকে ঘিরে তেমন উন্মাদনা চোখে পড়েনি বলে জানান তিনি। এদিকে, জাফলং রুটে বাধাগ্রস্ত হয়ে কিছু ট্রাক সাদাপাথরসহ কয়েকটি পর্যটন স্পটে গেছে। স্থানীয় ভোলাগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার ঈদের পরদিন সাদাপাথর এলাকায় খোলা ট্রাক ও পিকআপে মাইক বাজিয়ে তরুণ ও যুবকরা এসেছেন। ঈদের পরদিন ও পহেলা বৈশাখে বেশি ছিল। কিন্তু সিলেট-ভোলাগঞ্জ রুটে পুলিশের তরফ থেকে তেমন কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি। তারা জানিয়েছেন, খোলা ট্রাক ও পিকআপে করে তরুণ ও যুবকরা এসেছে। তারা সাদা পাথর পর্যন্ত গেছে। তবে- মূল স্পটে পুলিশসহ প্রশাসনের নিরাপত্তা বলয় থাকার কারণে কোনো অঘটন ঘটেনি। এদিকে- পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে সিলেট নগর ও আশপাশ এলাকায় খোলা পিকআপে উন্মাদনা বরাবরই ছিল বিরক্তিকর। একই সঙ্গে ওই যুবক ও তরুণরা রং ছিটাতো। কিন্তু এবার পুলিশের পক্ষ থেকে কড়াকড়ি আরোপ করায় সিলেটে ডিজে পার্টির উৎপাত কম ছিল।
মাশাআল্লাহ অত্যন্ত সুন্দর একটি উদ্যোগ, এলাকাবাসী কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আলহামদুলিল্লাহ অত্যন্ত সুন্দর উদ্যোগ। প্রত্যেকে নিজ নিজ সাধ্যমতে নাহী আনিল মুনকার করলে সমাজ থেকে অনেক অপরাধ দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। জৈন্তাপুরের জনগণকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। جزاهم الله خيرا أحسن الجزاء في الدنيا و الاخرة
মাশাআল্লাহ অত্যন্ত সুন্দর উদ্যোগ। যে সব ভায়েরা এই সব অনাচার বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মাশাআল্লাহ অত্যন্ত সুন্দর উদ্যোগ। যে সব ভায়েরা এই সব অনাচার বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাদের কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জনতার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই,এইভাবে যদি সারা বাংলাদেশে করা হতো তা হলে এই উম্মাধনা থেকে সাধারণ জনগন রক্ষা পেত প্রসাশন নিরব থাকার কারনে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে
খুবই ভালো উদ্যোগ। অন্যান্য জেলা, উপজেলা, এলাকাবাসীও অনুসরণ করতে পারেন।
এভাবে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ সমাজে চালু থাকলে অনাচার ও অরাজকতা বহুলাংশে হ্রাস পাবে।
Thanks from my heart....
Thanks to all local people & Police petrol team for due action in time.
জৈন্তাপুর এলাকাবাসীর খুবই চমৎকার ও প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। প্রতিটি টুরিস্ট হাভ গুলিতে এরকম উদ্যোগ নিলে অনেক ভালো হতো!
অনেক ধন্যবাদ এলাকাবাসীর জন্য।
ধন্যবাদ জানাই এসব এলাকা সচেতন নাগরিক বৃন্দ কে।