বাংলারজমিন
ঝিনাইদহে ৩ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩২
আমিনুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ থেকে
২ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবারঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় গত তিন মাসে সড়কে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হাইওয়ে পুলিশ, হাসপাতাল, জেলা পুলিশ ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক গত জানুয়ারি মাসে ১৩ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ জন ও মার্চ মাসে ১৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এরমধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৮ জন, কালীগঞ্জে ৭ জন, মহেশপুরে ৭ জন, কোটচাঁদপুরে ২ জন, শৈলকুপায় ৬ জন ও হরিণাকুণ্ডুতে ২ জন রয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগ সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকৃত অবৈধ যানবাহনের কারণে মারা গেছেন। এ ছাড়া কিশোর ও তরুণ কলেজ শিক্ষার্থীরাও দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানোর ফলে প্রাণ হারিয়েছেন। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের কর্মী সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান, সড়ক-মহাসড়ক ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পাল্লা ভারী হচ্ছে, কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই।
ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু জানান, বৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সড়কে এই মৃত্যুর মিছিল থামানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে যুক্ত হতে হবে। ঝিনাইদহ বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান জানান, আমরা তো সব সময় সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। সড়কে নতুন নতুন গাড়ি চলাচল করছে। ফলে সড়কগুলো বেশি ব্যস্ত হয়ে উঠছে। ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, আমরা সড়ক- মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন মুক্ত করতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। চলাচলকৃত নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি ও ইজিবাইক আটক করে জরিমানাও আদায় করছি। ঝিনাইদহ জেলায় অন্তত পাঁচ’শ মাটি ও ইটটানা ট্রাক্টর রয়েছে। এসব গাড়ির কাগজপত্র তো দূরের কথা ড্রাইভারদের লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। কৃষি কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ এসব গাড়ি ধরে না। যে কারণে এসব গাড়ির ড্রাইভাররা লাগামহীন ভাবে দাপিয়ে বেড়ায় মহাসড়ক ও শাখা রাস্তাগুলোতে। তিনি বলেন, পুলিশের একার পক্ষে অবৈধ যানচলাচল বন্ধ করা সম্ভব নয়। জনগণ যদি সচেতন না হয় তবে এই সমস্যার সহসা সমাধানও সম্ভব নয়।