ভারত
ট্রাক্টর মার্চ: দিল্লি-নয়ডা সীমানায় যান চলাচল বিঘ্নিত
মানবজমিন ডিজিটাল
(৭ মাস আগে) ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৬:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ অপরাহ্ন
‘দিল্লি চলো’ অভিযান স্থগিত করে সোমবার থেকে ‘ট্রাক্টর মিছিল’ কর্মসূচি শুরু করেছেন কৃষকরা। এর পেছনে রয়েছে ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (বিকেইউ) টিকাইত এবং বিকেইউ লোক শক্তি। কৃষকরা মিরাট, মুজাফফরনগর, সাহারানপুর, বাগপত, হাপুর এবং আমরোহায় একটি ট্রাক্টর মিছিল বের করার ফলে যান চলাচল প্রবলভাবে বিঘ্নিত হয়। বিকেইউ-র কথায়, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-সহ আরও কয়েকটি দাবি নিয়ে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকেরা আন্দোলন করছেন। তাঁদের সমর্থন জানাতেই ট্রাক্টর মিছিল কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। মিরাটে, কৃষক এবং ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (টিকাইত) কর্মীরা মহিউদ্দিনপুরের ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে।
বিকেইউ তাদের দাবির জন্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় বিক্ষোভকারী কৃষকদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে হাইওয়েতে ট্রাক্টর পার্ক করার আহ্বান জানিয়েছে। টিকাইত বলেছিলেন যে ট্রাক্টর মার্চ করা হচ্ছে যাতে নরেন্দ্র মোদি সরকার তাদের কথা শোনে এবং কৃষকদের ভুলে না যায়। ট্রাক্টর মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে। দিল্লি-নয়ডা সীমান্তে ট্র্যাফিক প্রভাবিত হতে পারে ভেবে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়।
এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় তাই পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল। মিছিল যাতে রাজধানীতে ঢুকতে না পারে তাই দিল্লি-নয়ডা সীমানায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক কৃষক নেতা বলেন, ‘‘আমরা এখনও সরকারের তরফে কোনও বার্তা পাইনি। আলোচনার পথ সব সময় খোলা থাকবে। আমরা আলোচনা চাই। তাই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।"
কৃষকরা যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, লুহারলি টোল প্লাজা এবং মহামায়া ফ্লাইওভার হয়ে ট্রাক্টর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলের পরিকল্পনা করেছে। গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশের মতে, জাতীয় রাজধানী এবং নয়ডার মধ্যে সমস্ত সীমান্ত পয়েন্টে বাধা স্থাপন করে দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ দ্বারা নিবিড় চেকিং করা হবে এবং পরিস্থিতি অনুসারে যানবাহন সরানো হবে। অন্য দিকে, নিজেদের একাধিক দাবিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কৃষকেরা। সোমবার এই অবস্থান বিক্ষোভ ১৩ দিনে পা দিল।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস