অনলাইন
ডুবে আছে টিউবওয়েল-শৌচাগার, দুর্ভোগে বানভাসিরা
সিদ্দিক আলম দয়াল, গাইবান্ধা থেকে
(৩ বছর আগে) ২৯ জুন ২০২২, বুধবার, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২৬ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় চার উপজেলার সবগুলো নদ-নদীতে পানি কমতে শুরু করায় চরাঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সবগুলো নদীর পানি কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও ঘববাড়ি থেকে এখনো পানি নেমে যায়নি। ফলে চরাঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা এখনো তাদের ঘরে উঠতে পারেনি ।
চর গুপ্তমনির বাসিন্দা শামসুল হক জানান, চরাঞ্চলের মানুষের দু:খ কষ্টের মতো আর কারো যেনো না হয়। আমাদের রিলিফের দরকার নাই। আমাদের ঘরে খাবার আছে। কিন্তু চাল ফোটানোর মতো উঁচু জায়গা নাই। যে চৌকিতে থাকি সেই চৌকিতে রান্না করে খাই। একবেলা রান্না করে তিন বেলা খাই। কিন্তু শৌচাগারের সমস্যা অনেক বেশি । নৌকা বা ভেলা নিয়ে গভীর রাতে প্রাকৃতিক কাজ সারতে হয়। এখনো সেভাবে পানি নেমে যায়নি। রাস্তায় পানি, আঙ্গিনায় পানি, পানি চারদিকে। শুধু ঘরের পানি নেমে গেলেও তা বসবাসের উপযোগী হয়নি।
সদর উপজেলার মোল্লারচরের ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান জানান, পানি নামলেও রাস্তাঘাট ও আঙ্গিনায় এখনো পানিতে ডুবে আছে টিউবওয়েল ও শৌচাগারগুলো। শুধু তাই নয়, ঘরে এখন কাদা আর বালি পড়ে গেছে। ঘরের বেড়া ভেঙে ঘরের মধ্যে দিয়ে স্রোত বয়ে যাওয়া কোথাও গর্ত কোথাও বালুর ঢিবি তৈরী হয়েছে। এসব সরিয়ে বসবাসের উপযোগী করার সময় এখনো হয়নি। তাই ঘরে উঠতে পারছি না অনেকেই। টিউবওয়েলগুলো পানিতে ডুবে থাকায় কাপড় ভিজে গিয়ে পানি আনতে হচ্ছে। খাবার পানি আর শৌচাগারের সমস্যা প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অথবা সমর্থবান বানভাসি মানুষ নৌকা ভাড়া দিয়ে দূর থেকে পানি এনে ব্যবহার করলেও শৌচাগারের সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।